অলটাইম নিউজ ডেস্ক
ইসরায়েল সরকার তার সামরিক বাহিনীকে গাজা দখল করার উদ্দেশ্যে চালানো আক্রমণ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছে—এ খবরটি সরকারি অর্থায়নে সম্প্রচারিত ‘আর্মি রেডিও’তে প্রকাশ করা হয়।
এই নির্দেশ আসে তখনই, যখন যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি প্রস্তাবের ওপর হামাস আংশিক সাড়া দিয়ে কিছু শর্তে তা গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে। আর্মি রেডিওর সংবাদকর্মী ডরোন কাদোস জানান, ইসরায়েলের রাজনৈতিক মহল সশস্ত্র কার্যক্রমকে ‘সর্বনিম্ন’ পর্যায়ে নামিয়ে এনে শুধুমাত্র প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছে। কাদোস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, এর বাস্তবিক অর্থ হলো—(গাজা সিটি) দখলের অভিযান বন্ধ রয়েছে এবং আপাতত এটি স্থগিত করা হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা ও কূটনৈতিক সূত্রে জানা যায়, হামাস যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি প্রস্তাবে আংশিক সম্মতি দিয়েছে এবং তাদের হাতে থাকা সব ইসরায়ি জিম্মি মুক্তি দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে, তখনই ইসরায়েল প্রস্তাবটির প্রথম ধাপগুলো তাৎক্ষণিকভাবে বাস্তবে রূপ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে—এমনটাই জানিয়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দফতর, যা রয়টার্স প্রকাশ করে।
ট্রাম্প গতকাল শুক্রবার হামাসকে তার প্রস্তাব গ্রহণের সময়সীমা দেন; তিনি জানান, ওয়াশিংটন টাইম অনুযায়ী রোববার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে উত্তর না দিলেই হামাস ‘অভূতপূর্ব নরকীয় পরিণতি’ ভোগ করবে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হামাস আনুষ্ঠানিকভাবে আংশিকভাবে প্রস্তাব মেনে নেওয়ার ঘোষণা করে—বিবৃতিতে তারা জানায়, জীবিত ও মৃত সকল জিম্মিকে মুক্তি দিতে রাজি তারা, তবে প্রস্তাবের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্ত নিয়ে আরও আলোচনা দরকার।
ট্রাম্প হামাসের এই সাড়াকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং বলেন, সংগঠনটি স্থায়ী শান্তির জন্য প্রস্তুত বলে মনে হচ্ছে।
এর আগে হোয়াইট হাউস সোমবার গাজায় যুদ্ধবিরতির নির্দেশসহ ২০ দফা বিশদ পরিকল্পনা প্রকাশ করে এবং তাতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সমর্থন জানান। ওই পরিকল্পনায় বলা হয়েছে—গাজায় ‘তাৎক্ষণিকভাবে’ যুদ্ধ বন্ধ করা হবে; ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ২০ জন জীবিত জিম্মিকে ফিরিয়ে দিতে হবে এবং মৃত জিম্মিদের দেহাবশেষ হস্তান্তর করতে হবে; বিনিময়ে ইসরায়েলে আটক থাকা গাজার ‘শত শত’ বাসিন্দাকে মুক্তি দেওয়া হবে।