Connect with us

top1

গণভোটে বিভক্ত জামাত ও বিনপি: রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার আশঙ্কা

Published

on

ঢাকা, ৩ নভেম্বর ২০২৫ — আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ও সংবিধান সংস্কার নিয়ে প্রস্তাবিত জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের জন্য গণভোট আয়োজনের সিদ্ধান্তে দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পরস্পরবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। এই মতবিরোধ রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে বলে বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, সরকার ‘জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ-২০২৫’ জারি করেছে, যার ওপর গণভোট আয়োজনের কথা বলা হয়েছে। এই গণভোটে আদেশ অনুমোদিত হলে সংসদ সদস্যদের নিয়ে গঠিত হবে একটি সংবিধান সংস্কার পরিষদ, যার ক্ষমতা থাকবে সংবিধানের মৌলিক কাঠামো পরিবর্তনের।
বিএনপি চাই এক দিনে দুই ভোট কিন্তু জামায়াত নির্বাচনের আগে আলাদা গণভোট। বিএনপি স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, তারা জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে আয়োজনের পক্ষে। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “নির্বাচনের আগে গণভোট—এটির সঙ্গে বিএনপি একমত নয়। এ ব্যাপারে আর আলোচনা করার সুযোগ নেই।” তিনি আরও বলেন, “যারা সুপারিশ করেছে, তারা নির্বাচন করবে না; করবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো।” অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী চায় নির্বাচনের আগেই আলাদাভাবে গণভোট হোক। দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, “সংসদ নির্বাচনের দিনেই গণভোট হলে জনগণের জন্য বিভ্রান্তিকর হবে। জনগণ গণভোটে অভ্যস্ত নয়।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, গণভোটের সময় ও পদ্ধতি নিয়ে এই মতবিরোধ ভবিষ্যতে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে যখন দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ইতিমধ্যে উত্তপ্ত এবং নির্বাচনকে ঘিরে জনমনে উদ্বেগ রয়েছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য ছিল রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা। কিন্তু বিএনপি ও জামায়াতের এই ভিন্নমত সেই প্রচেষ্টাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। বিএনপির আরেক নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার বদলে জাতীয় অনৈক্য প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছে।” অন্যদিকে বিদেশ সফররত জামাতের আমির প্রবাসীরদেড় উদ্দেশ্যে একাধিক বার নির্বাচনের আগেই গণভোটের বেপারে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে।