ক্যাম্পাস

জাতীয় যুব গবেষণা সম্মেলনে প্রথম হলেন ইবি শিক্ষার্থী জনি

Published

on

ইবি প্রতিনিধি

প্রথমবারের মতো বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় যুব গবেষণা সম্মেলন-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ‘ব্যবসা ও আইন’ ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান অর্জন করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আইন বিভাগের ২০২১-২২ বর্ষের শিক্ষার্থী আল জিহাদ জনি।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সোসাইটির (BURS) আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়- ‘Multidisciplinary Youth Research Towards a Sustainable Bangladesh’. এতে বিজয়ী জনির হাতে ১০ হাজার টাকা প্রাইজমানি তুলে দেয় কর্তৃপক্ষ।

জানা যায়, ইবির আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আরমিন খাতুন ও একই বিভাগের শিক্ষার্থী আল জিহাদ জনির যৌথ সম্পাদনায় ‘Existing Inconsistencies in the Implications of Constitutional provisions in Bangladesh: Parliamentary Elections, Presidential and Judicial Transitions’ শীর্ষক একটি গবেষনা প্রবন্ধ সম্পাদিত করা হয়। পরে শিক্ষার্থী জনি মৌখিক উপস্থাপনার মাধ্যমে গবেষণামূলক প্রবন্ধটির যৌক্তিকতা, প্রাসঙ্গিকতা ও তাৎপর্য তুলে ধরেন।

এছাড়া বিজ্ঞান ও প্রকৌশল,পরিবেশ ও জীবন বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান ও শিল্প, ব্যবসায় ও আইন অনুষদ এ চারটি উপ-বিষয়ে ব্যক্তি বা দলগতভাবে মৌখিক, পোস্টার উপস্থাপনা, গবেষণা গল্প বলা এবং লিফট পিচ অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এতে প্রথমবারের মতো দেশের সরকারি ও বেসরকারি মোট ৬৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, নবীন গবেষক এবং শিক্ষকবৃন্দ একত্রিত হয়ে গবেষণার ধারণা, অভিজ্ঞতা এবং উদ্ভাবনী সমাধান বিনিময়ের সুযোগ পেয়েছেন।

বিজয়ী প্রতিযোগী জনি বলেন, ‘এই সামিটের মাধ্যমে একসাথে সরকারি ও বেসরকারি সহ মোট ৬৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজেদের মতামত শেয়ার করা এবং পরস্পর থেকে যেন শেখার প্লাটফর্ম। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সহ ইবি অধ্যাপক ড. আরমিন খাতুন ম্যামকে আমাকে সর্বদা গাইড করেছেন। যদিও একাডেমিক পারপাসের কারণে তিনি উপস্থিত থাকতে পারেননি।’

এ বিষয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সোসাইটি (BURS) এর প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান সভাপতি আজম খান গণমাধ্যমকে জানান, জাতীয় যুব গবেষণা সম্মেলন ২০২৫ কেবল একটি একাডেমিক আয়োজন নয়; এটি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় তথা দক্ষিণাঞ্চলের জন্য একটি গবেষণামুখী মাইলফলক। এই সম্মেলনের মাধ্যমে তরুণ গবেষকদের জন্য একটি জাতীয় নেটওয়ার্ক গড়ে উঠবে, যা আগামী দিনের টেকসই বাংলাদেশ নির্মাণে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সহায়ক হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Trending

Exit mobile version