অলটাইম নিউজ ডেস্ক
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকায় গুলিতে নিহত কলেজছাত্র হৃদয় হোসেনের লাশ রাতের আঁধারে গাজীপুরের কড্ডা নদীতে ফেলে দেয় পুলিশ। হৃদয়কে কাছ থেকে গুলি করে কোনাবাড়ী থানার পুলিশ কনস্টেবল আকরাম। এ ব্যাপারে আকরাম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
সোমবার জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দিনের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়। এদিন চিফ প্রসিকিউটর ট্রাইব্যুনালকে জানান, শহীদ হৃদয়ের লাশের সন্ধানে কড্ডা নদীতে ডুবুরি নামিয়ে খোঁজা হয়েছিলো। কিন্তু নদীটি প্রচণ্ড খরস্রোতা হওয়ায় তার লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
তিনি বলেন, ‘হৃদয়ের লাশ নিয়ে পুলিশ রাতের আঁধারে ব্রিজের ওপর থেকে কড্ডা নদীতে ফেলে দেয়। কিন্তু লাশ না পেলেও হৃদয়কে গুলি করা পুলিশ কনস্টেবল আকরাম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।’ তিনি সব বর্ণনা তদন্ত সংস্থার কাছে তুলে ধরেছেন বলে ট্রাইব্যুনালকে বলেন চিফ প্রসিকিউটর।
উল্লেখ্য, শহীদ হৃদয় টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার আলম নগর গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে। তিনি হেমনগর ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। পড়াশোনার পাশাপাশি কোনাবাড়ীতে অটোরিকশা চালাতেন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিখোঁজ হন তিনি। এখন পর্যন্ত তার লাশ খুঁজে পায়নি পরিবার।
হৃদয় অটোরিকশা চালিয়ে নিজের পড়াশোনার খরচের পাশাপাশি নিজের অস্বচ্ছল পরিবারকে সাহায্য করতেন।