top1

দার্জিলিংয়ে প্রবল ধ্বসে ১৩ জনের মৃত্যু, তিস্তার পানি বেড়ে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ 

Published

on

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ভারতের দার্জিলিংয়ের মিরিকে প্রবল বৃষ্টিপাতে লোহার সেতু ভেঙে অন্তত নয় জনের মৃত্যু হয়েছে। সুখিয়া এলাকায় আরও চার জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাত থেকে এ বৃষ্টি শুরু হয়। রোববার (৫ অক্টোবর) সকাল পর্যন্ত টানা বর্ষণে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ভরতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার জানায়, একাধিক রাস্তার ধসের পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি, দার্জিলিং, মিরিক, কালিম্পং ও সিকিমের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তিস্তাবাজারের কাছে ২৯ মাইলের ভালুখোলা এলাকায় তিস্তার পানি বেড়ে জাতীয় সড়ক-১০ বন্ধ হয়ে গেছে।

স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, দিলারামের কাছে রাস্তায় ধস নেমেছে। দার্জিলিংয়ে যাতায়াতের প্রধান সড়ক সেই কারণে অবরুদ্ধ। এছাড়া কালিম্পং ও সিকিমের দিকে যাওয়ার রাস্তাও সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। দুর্যোগে দিশাহারা বন্যপ্রাণীরাও জঙ্গল থেকে গ্রামের দিকে চলে আসছে। দুটি হরিণ উদ্ধার করা হয়েছে। একাধিক নদী বইছে বিপদসীমার ওপরে।

তবে আবহাওয়া দপ্তর আগেই জানিয়েছে, উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাত হবে। দার্জিলিংয়ে অতি ভারি বর্ষণের সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। শনিবার রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি সকাল পর্যন্ত চলেছে। নদীর পানি বেড়ে বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে।

জানা গেছে, দার্জিলিঙের রোহিণী রোডের একাংশও ধসে নদীর দিকে নেমে গেছে। জিটিএ রোববার সকালে একটি দুর্যোগ নির্দেশিকা জারি করেছে। এতে পর্যটকদের রক গার্ডেন ও টাইগার হিল পরিদর্শনে আপাতত যাওয়া বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সকলকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, মিরিকের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কার্শিয়াং) বলেন, ‘মিরিকে পাঁচটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দুটি দেহ আগেই উদ্ধার করা হয়েছিল। সুখিয়ায় আরও চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আবহাওয়ার কারণে উদ্ধারকাজে সমস্যা হচ্ছে। রোহিণীর রাস্তা ও দিলারামের দিকও বন্ধ। মিরিকে আটকে পড়া পর্যটক ও স্থানীয়দের উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে।’ পরে মোট ১৩ জনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করে পুলিশ। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Trending

Exit mobile version