অলটাইম ডেস্ক
ফরিদপুরে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসরদের গ্রেফতারের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে ছাত্র-জনতা।
বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে ফরিদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ছাত্র-জনতার উদ্যোগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ আল্টিমেটাম ঘোষণা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ২৪ জুলাই আন্দোলনের ছাত্রনেতা সোহেল রানা।
তিনি বলেন, সম্প্রতি ফরিদপুরে আওয়ামী লীগকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন দলটিরই একাংশের নেতা, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক সহ-সভাপতি এ. কে. আজাদ। তার প্রত্যক্ষ নেতৃত্বে অতীতের সেই ‘পেটুয়া বাহিনী’ পুনরায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে, যারা জুলাই আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার ওপর দমন-পীড়ন চালিয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
সোহেল রানা অভিযোগ করেন, জুলাই বিপ্লবের পরও এ. কে. আজাদ বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগের স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “কয়েকদিন আগে তিনি প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে অংশ নেন, যা জুলাই বিপ্লবের চেতনার পরিপন্থী।”
বক্তারা বলেন, প্রশাসনের চোখের সামনেই এসব কর্মকাণ্ড ঘটলেও এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এটি কেবল রাজনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন নয়, বরং গণতন্ত্রবিরোধী শক্তিকে পুনর্বাসনের স্পষ্ট ইঙ্গিত।
তারা প্রশ্ন তোলেন, “ফরিদপুরে কি আবারও সেই স্বৈরাচার ও দমননীতির রাজনীতি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে?”
ছাত্র-জনতা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানায়, এ. কে. আজাদ ও তার সহযোগীদের অবৈধ ও অসাংবিধানিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে।
বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “জনগণ আর কোনোভাবেই আওয়ামী লীগ নামের সন্ত্রাসী চক্রের পুনরুত্থান মেনে নেবে না।
আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে, কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি হলে তার দায় প্রশাসন এবং এ. কে. আজাদকেই নিতে হবে।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, “কোতয়ালী থানা পুলিশকে জনগণ সম্মান দেখিয়ে দ্বিতীয়বার দায়িত্ব দিয়েছে। যদি তারা জনগণের সেই প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়, তবে চেয়ার ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত। প্রশাসনকে মনে রাখতে হবে, ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত চেতনার সঙ্গে বেইমানি কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।”
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মুরাদ শেখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ২৪ জুলাই আন্দোলনের সক্রিয় সদস্য মেহেদী হাসান, সাইফ খান, ফারহান নাইব ও তামজিদ সিওনসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।