আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, “বিএনপির সালাউদ্দিন আহমেদ একটি ঘন্টার জন্যও কখনো ঐক্যমত্য কমিশন মিস করেন নাই। উনি কথায় কথায় সংবিধান, অনুচ্ছেদ, আর্টিকেল ইত্যাদি তুলে তুলে বক্তব্য দিয়েছেণ। আমার উনার কাছে প্রশ্ন, আপনাকে যে বাংলাদেশ থেকে ধরে তামাবিল সীমান্ত দিয়ে ভারতের শিলংয়ে পাঠানো হয়েছিল, এটা কত নাম্বার আর্টিকেলে লেখা ছিল?”
আজ রবিবার (২ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, এবি পার্টি ও আপ বাংলাদেশের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘স্বল্প আস্থার সমাজে সংস্কার ও নির্বাচনী ঐক্যের রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় তিনি আরো বলেন, “সংবিধানে কখনোই ভোট ডাকাতি, আগের রাতে ভোট, ডামি নির্বাচন এগুলার কথা নাই। সংবিধানে কখনোই দেশের লক্ষ কোটি টাকা পাচারের বৈধতা নাই। এই রাষ্ট্রকে, সংবিধানকে দুমড়ে মুচড়ে হত্যা করে শেখ হাসিনা এমন এক জায়গায় নিয়ে গিয়েছিলো, যার কারণে আমাদেরকে গণঅভ্যুত্থানের আশ্রয় নিতে হয়ছিল।”
নতুন রাজনীতির সূচনা করার আশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, “আপনি দেখবেন রাজনৈতিক দলগুলার ঐক্য না হওয়ার একটা প্রধান কারণ হচ্ছে চেয়ারে কে আগে বসবে কে পেছনে বসবে। একটা নতুন বদলের রাজনীতি আমরা সূচনা করতে পারি কিনা? বিএনপি, জামায়াত, এনসিপির সমালোচনার চাইতেও এমন একটা রাজনীতি করা যায় কিনা, একদিন আমরা দাঁড়িয়ে শুধু নিজেদের সমালোচনা করব। কেন আমাদের দলের মিছিলে লোক আসে না? কেন আমাদের দলের কথা শুনে লোকেরা পাগলপারা হয়ে রাজনীতি করতে ছুটে না? কেন আমরা যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি সে স্বপ্নের কথা মানুষকে বুঝাতে পারি না? সে আত্ম পর্যালোচনা করে আমরা যদি এগিয়ে যাই, কত বিএনপি, জামায়াত এনসিপির নেতা আমাদের দিকে আসবে তার হিসেব পাওয়া যাবে না।”
এসময় অন্তর্বর্তিকালীন সরকারের সমালোচনা করে মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, “কয়েকটা রাজনৈতিক দলের মন জুগিয়ে চলার নীতিটা বাদ দেন। যদি বাদ না দেন তাহলে আপনারা যে সুযোগ পেয়েছেন সে সুযোগ হাতছাড়া করার দায়ে চিরস্থায়ীভাবে দেশের জনগণের কাছে দায়ী থাকবেন। এ দায় থেকে আমাদের শহীদদের রক্ত, আহতদের রক্ত আপনাদেরকে কখনো মুক্তি দিবে না।”
আলোচনা সভায় বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুমের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক ছিলেন সেয়াস ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের অধ্যাপক ও বিশিষ্ট রাষ্ট্রচিন্তক ড. মুশতাক হোসেন খান।
এছাড়াও আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ, জেএসডি সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হাসিব উদ্দিন হোসেন, এবি পার্টির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) অধ্যাপক আব্দুল ওহাব মিনার, আপ বাংলাদেশের সদস্যসচিব আরেফিন মো. হিজবুল্লাহ, এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার জোবায়ের আহমদ ভূঁইয়া, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদার ভুঁইয়া, এবং আপ বাংলাদেশের প্রধান সংগঠক নাঈম আহমাদ।
আরো উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) হেলাল উদ্দিন, ভয়েস অব রিফর্মের সংগঠক ফাহিম মাসরুর প্রমুখ।