ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সাজিদ হত্যাকাণ্ডের তদন্তে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) দায়িত্ব দেওয়ার কথা জানিয়েছেন ভিসি অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। ‘এই ঘটনায় যেই জড়িত থাকুক, কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না’ বলে জানান তিনি।
রবিবার (৩ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, সাজিদের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রশাসন উদ্বেগ ও শোক প্রকাশ করছে। এটি অপ্রত্যাশিত ও মর্মান্তিক একটি ঘটনা। এটা ক্রিমিনাল কেস। পুলিশ প্রশাসনের কাছে মামলা দেয়ার পরে তারা যে ধরণের সাহায্য সহযোগিতা চাইবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রদান করা হবে। পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়ে হত্যাকাণ্ড কীভাবে হয়েছে এবং কারা এর সঙ্গে জড়িত তাদেরকে সনাক্ত করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এই ঘটনায় যেই জড়িত থাকুক তার সর্বোচ্চ শাস্তি আমরা চাই।
তিনি বলেন, এর আগে সাজিদের বাবা থানায় জিডি দায়ের করেছিলেন। এখন যেহেতু হত্যাকাণ্ড নিশ্চিত হওয়া গেছে, তাই মামলা দায়ের করবে। আনুষ্ঠানিক ভাবে মামলা দায়ের হবে।
ভিসি আরও বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের পাশে আছি। তাদের সব যৌক্তিক দাবি দাওয়া আমরা মেনে নিয়েছি। এমন মর্মান্তিক ঘটনা যেন আর না ঘটে সেজন্য প্রশাসন সজাগ আছে। ক্লাস পরীক্ষাসহ সবকিছু যেন নির্বিঘ্নে চলে সে ব্যাপারে শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে দৃষ্টিআকর্ষণ করেন তিনি।
ভিসির বাসভবনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সাংবাদিক সমিতির সভাপতি তাজমুল হক জায়িম, সাধারণ সম্পাদক রাকিব মিয়া রিফাত, সহসভাপতি মুতাছিম বিল্লাহ রিয়াদ, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আজাহারুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক নাজমুল হুসাইন, রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ফারহানা নওশীন তিতলী ও দপ্তর সম্পাদক সাকিব আসলাম উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ১৭ই জুলাই বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুকুর থেকে সাজিদ আব্দুল্লাহর ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ৩ আগস্ট সাজিদের ময়নাতদন্তের ভিসেরা রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। এতে সাজিদকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। একইসাথে লাশ পোস্টমর্টেমের প্রায় ৩০ ঘণ্টা আগে (অর্থাৎ ১৬ জুলাই দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে তিনটার দিকে) সাজিদের মৃত্যু হয় বলেও জানানো হয়। এদিকে এই ঘটনায় ঘটিত ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি ৩রা আগস্ট প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট জমা দিয়ে সরকারি তদন্ত সংস্থা দিয়ে তদন্তের সুপারিশ করেন।