top1

রাজধানীতে আসার মূল্য জীবন দিয়ে দিতে হলো আবুল কালামকে

Published

on

ডেস্ক নিউজ

নারায়ণগঞ্জ থেকে রাজধানীর মতিঝিলে এসেছিলেন আবুল কালাম আজাদ। এরপর দুপুরে ফার্মগেট এলাকায় আসেন তিনি। এ সময় মেট্রোরেলের পিলারের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে তার নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি। গণমাধ্যমে তার মৃত্যুর খবর জানতে পারেন পরিবারের সদস্যরা।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চার বোন ও ছয় ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট আবুল কালাম আজাদ। ছোট থাকতেই বাবা জলিল হাফেজের মৃত্যুর পর ঢাকায় বড় হয়েছেন তিনি। একই বয়সে হারিয়েছেন মাকেও। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ ব্যাচের ছাত্র ছিলেন। তিনি জবির ইংলিশ ডিপার্টমেন্ট থেকে পড়ালেখা শেষ করেছেন। পড়াশোনা শেষে চাকরি করতেন একটি ট্রাভেলস এজেন্সিতে।

জানা যায়, সংসারের স্বাচ্ছন্দ্য ফেরাতে ২০১২ সালে মালয়েশিয়ায় যান আবুল কালাম (৩৮)। সেখান থেকে ফিরে ২০১৮ সালে পাশের গ্রামে আইরিন আক্তারকে বিয়ে করেন। তাদের ছয় বছরের ছেলে ও চার বছর বয়সী মেয়ে রয়েছে। তারা বসবাস করতেন নারায়ণগঞ্জের পাঠানটুলী এলাকায়। মতিঝিলের একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে কাজ করতেন। প্রতিদিন অফিসে আসতেন নারায়ণগঞ্জ থেকে।

নিহত আবু কালাম আজাদের বড় বোন সেলিনা বেগম বলেন, ছোট থেকে কষ্ট করে বড় হয়েছে আমার ভাই। সেই পরিবারটা সামলাচ্ছিলই। ঢাকায় গেলে এমন মৃত্যু হবে—আমরা কিভাবে মানব? তার দুই সন্তানকে এখন কে দেখবে

তার ভাবি আছমা বেগম বলছিলেন, বেলা ১২টার দিকে আবুল কালামের সঙ্গে আমার কথা হয়। দুই-এক দিনের মধ্যে বাড়িতে আসবে বলেছিল। ইলিশ মাছ কিনে রাখতে বলেছিল। ভাই আর আসল না।

আবুল কালামের চাচাতো ভাই আব্দুল গনি মিয়া চোকদার বলেন, আধুনিক এই প্রকল্পে যদি এমন নিরাপত্তা বিপর্যয় হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ কোথায় নিরাপদ? দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে

পরিবারটিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হচ্ছে জানিয়ে ইউএনও মো. আব্দুল কাইয়ুম খান বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা বলেছে সরকারের পক্ষ থেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Trending

Exit mobile version