Connect with us

top1

৩৫ বছরে ডাকসু টাকার হিসাব নাই,আন্দোলনর হুমকি সাদিক কায়েমের

Published

on

ঢাকা, ২৬অক্টোবর — ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) পরিষদের নবনির্বাচিত সহ-সভাপতি আবু সাদিক কায়েম বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি ৩৫ বছরের ডাকসু তহবিলবিষয়ক সম্পূর্ণ হিসাব প্রদান না করে, তাহলে শিক্ষার্থীরা ব্যাপক আন্দোলনের প্রস্তুতি নেবে।

সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে আবু সাদিক কায়েম বলেন, “ডাকসুর তহবিলের শুদ্ধ হিসাব ও ব্যয়ের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ না করলে আমরা শান্তিপূর্ণ কিন্তু জোরালো কর্মসূচি নিতে বাধ্য হব। ৩৫ বছরের পুরনো নগদ ও সম্পত্তির হিসাব আমাদের হাতে আসা আবশ্যক।” তিনি আরও বলেন, “স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা না হলে প্রশাসনকে আমরা আর নেতৃত্ব দেব না।”

নবনির্বাচিত অধিকারের দাবি অনুযায়ী, তারা প্রশাসনের কাছে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সম্পূর্ণ হিসাব ইলেকট্রনিক রেকর্ড, খরচের চালান ও ব্যয়ের প্রমাণসহ প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছেন। কায়েম জানান, তারা দ্বিতীয়বার লিখিতভাবে প্রশাসনকে আহ্বান জানাবে; তবুও যদি সন্তোষজনক জবাব না আসে তাহলে ক্যাম্পাসভিত্তিক কর্মসূচি, মিছিল ও অনশনসহ অন্যান্য শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করা হবে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রশ্ন ওঠেছে গত কিছু দশকে ডাকসু তহবিলের ব্যয়, জমা ও পণ্যসম্ভারের বর্ণনা যথাযথভাবে রেকর্ড রাখা হয়েছে কি না এবং যে কয়েক প্রজেক্টে অনুদান দেওয়া হয়েছে সেগুলোর স্বচ্ছতা সম্পর্কেও সংশয় আছে। নবনির্বাচিত প্রতিনিধিরা দাবি করেছেন, এই তহবিলের হিসাবের জবাবদিহিতা শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার এবং সংগঠনের ভাবমূর্তির প্রশ্ন-ও ঊঠে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিষয়টি সম্পর্কে এখনো মন্তব্য করেনি; বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বা উপাচার্যের অফিসের পক্ষ থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। অন্যান্য প্রশাসনিক সূত্র বলছে, যে কোনো অর্থনৈতিক হিসাব-নিকাশ সম্পর্কিত দাবি সাধারণত নির্ধারণকৃত অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া আর জেনেরাল বডির মাধ্যমে যাচাই করা হয়। তবে তারা এই মুহূর্তে বিস্তারিত বিবৃতি দিতে রাজি হননি।

বিশ্ববিদ্যালয়কম বিষয়ে পূর্বে সময়ে সময়ে ছাত্র সংগঠন ও প্রশাসনের মধ্যে আর্থিক স্বচ্ছতা নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা গেছে। নিউনির্বাচিত কাউন্সিল সূত্র বলছে, তারা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি প্রয়োজনে স্বাধীন নিরীক্ষার মাধ্যমে হিসাব যাচাই করাবেন।

নির্বাচিত নেতারা দাবি করেন, আন্দোলনের লক্ষ্য থাকবে শুধুমাত্র হিসাব প্রকাশ করানো এবং ভবিষ্যতে তহবিল ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা, নিয়ম কানুন নিশ্চিত করা—কোনো ধরনের দমন-পীড়ন স্বীকার করা হবে না।