ইবি শিক্ষার্থী সাজিদের রহস্যময় মৃত্যু: বিভাগের সংবাদ সম্মেলন
আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি
• একতাবদ্ধ ছাত্র সংগঠনগুলো
• লাশের রাজনীতি না করার আহ্বান
• সুষ্ঠু বিচার দাবি পরিবারের
ইবি প্রতিনিধি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহ’র রহস্যজনক মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের দাবি-সহ সার্বিক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ। বিভাগের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের নিয়ে দাবি আদায় ও বিচার না হওয়া পর্যন্ত মাঠে থাকার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন নিহত সাজিদের বিভাগীয় সভাপতি অধ্যাপক ড. নাছির উদ্দিন মিঝি।
বুধবার দুপুর ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. নাছির উদ্দিন মিঝির সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন থিওলজি এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আ.ব.ম. ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফি, বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ, ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন সাংবাদিক সংগঠনের সাংবাদিকবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক ড. নাছির উদ্দিন মিঝি বলেন, ‘সাজিদ যেহেতু আমাদের বিভাগের শিক্ষার্থী তাই আমাদের দায়বদ্ধতা একটু বেশি। আমরা সেই দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। ইতোমধ্যেই সাজিদ আব্দুল্লাহর মৃত্যু কিভাবে হয়েছে সেজন্য প্রশাসন শক্তিশালী তদন্ত কমিটি, হল কর্তৃপক্ষ, পুলিশ প্রশাসনের তদন্ত কাজ অব্যাহত রেখেছে।
তিনি তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে জানান, কাজের অগ্রগতি দেখতে সাজিদ আব্দুল্লাহ’র বাবা এবং চাচা-সহ কয়েকজন লোক গতকাল আমাদের ক্যাম্পাসে এসেছেন। তারা বিভাগ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, সংশ্লিষ্ট হলের গঠিত তদন্ত কমিটির সাথে বৈঠক করেছেন। সর্বশেষ তারা পুলিশ প্রশাসনের সাথে বৈঠক করে বিদায় নিয়েছেন।
পরিবারের দাবি সম্পর্কে তিনি জানান, পরিবার যে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন যে, ‘আমার সন্তান মারা গেছে। আমার সন্তানের যদি স্বাভাবিক মৃত্যু হয় এবং তদন্তের মাধ্যমে যদি এ বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়, আমার কোনো কথা নাই। কিন্তু যদি আমার সন্তানের কোনো অপঘাত অথবা কোনো অন্তর্ঘাতমূলক কোনো কার্যক্রমের ফলে মৃত্যু হয় তাহলে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এর বিচার চাই। অর্থাৎ সুষ্ঠু তদন্তের সাপেক্ষে তিনি তারা মৃত সন্তানের বিচার চেয়েছেন।
পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম, আইন-শৃঙ্খলা ও একাডেমিক কার্যক্রম ব্যহত হয় এমন অথবা সাজিদ আব্দুল্লাহর লাশ যেন কোনো অপব্যবহার বা অপরাজনীতির শিকার না হয় সে ব্যাপারে তিনি অনুরোধ করেছেন। তিনি বলতে চেয়েছেন, ‘আমার সন্তানের বিচার হচ্ছে আমার প্রধান মুখ্য বিষয়। কিন্তু আমার সন্তানকে কাজে লাগিয়ে কোনো ধরনের রাজনীতি বা অন্তর্ঘাতমূলক কিছু আমি চাই না।’ আমার মাধ্যমে উনার কথা আপনাদের কাছে পৌঁছে দিলাম। সাংবাদিকদের মাধ্যমে দেশ ও জাতি জানুক যে পরিবার কী চাচ্ছেন।
এসময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আল কুরআন বিভাগ, সকল সচেতন ছাত্রজনতা, ছাত্র-সংগঠন ও সাংবাদিকদের সঠিক তথ্য দিয়ে সহায়ক ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।