Connect with us

top2

গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একসাথে করার সিদ্ধান্তে জামায়তের নিন্দা, প্রত্যাহারের আহ্বান 

Published

on

ডেস্ক নিউজ 

জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে করার সিদ্ধান্তের নিন্দা এবং তা প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা ৮ দল।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাতে ৮ দলের জরুরি বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের এ আহ্বান জানান। রাজধানীর মগবাজারে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

তিনি বলেন, জুলাই সনদ জারি করে প্রধান উপদেষ্টা সঠিকই করেছেন। এটা আরো আগে জারি করা দরকার ছিল। এটার জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু এই সনদের কার্যকারিতার জন্য জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট যে অপরিহার্য, এখানে তিনি গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একসঙ্গে হবে বলে বিভ্রান্তি তৈরি করেছেন। এটার আমরা নিন্দা জানাচ্ছি এবং এটি প্রত্যাহার করার আহ্বান জানাই।

তিনি বলেন, কেন প্রত্যাহার করবেন, সেটিসহ সভায় আরো বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সেসব বিষয় বিস্তারিত শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় আল-ফালাহ মিলনায়তনে ৮ দলের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হবে। এ সময় আগের আন্দোলনের ঢাকার কর্মসূচির বিষয়ে পুন:স্থাপিত হবে। তবে শুক্রবার পাঁচ দফা দাবিতে সারা দেশের বিক্ষোভ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, আমরা আশা করেছিলাম- প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে নির্বাচন ও বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে যে জট লেগে আছে, সেগুলোর সুষ্ঠু সমাধান হবে এবং জাতি স্বস্তি পাবে। কিন্তু ভাষণ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, জাতির স্বস্তি ও মুক্তির প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে-এমনটা বলা যায় না।

তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে কিছু বিষয় আছে যা বিবেচনায় নিতে পারি। আবার কিছু বিষয় আছে, যেটির কারণে ভালো দিকগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে গেছে। এক কথায় এটাকে পূর্ণাঙ্গ প্যাকেজ ধরলে, তা ফলপ্রসূ কোনো সুখকরভবিষ্যত দেবে বা স্বস্তি আনবে বলে আমরা মনে করছি না।

তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার তিনটি প্রতিশ্রুতির একটি ছিল সংস্কার। সেটি নিয়ে বহু মানুষ দীর্ঘদিন পরিশ্রম করেছেন। কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে যে জুলাই সনদ হয়েছে-তাতে বিএনপিসহ আমরা একমত হয়ে সই করেছি। আমরা আশা করেছিলাম একটি সুষ্ঠু সংস্কার পাবো এবং তার ভিত্তিতে সুষ্ঠু নির্বাচন পাবো। পরে এ নিয়ে বিএনপির একেকজন একেক রকম কথা বলেন। এতে সংস্কার বিষয়টি অস্পষ্ট রূপ নেয়।

তিনি বলেন, আমরা বলেছি-পিআর পদ্ধতি চালুসহ বিভিন্ন প্রস্তাবের কোনটি জনগণ গ্রহণ করেছে আর কোনটি গ্রহণ করেনি, সেটির জন্য গণভোট আগে নির্ধারণ হয়ে যাওয়া দরকার। জনগণ কিছুই গ্রহণ না করলে আগের মতো নির্বাচন হবে। আর জনগণ যদি কিছু গ্রহণ করে বা পুরোটা গ্রহণ করে, তার ভিত্তিতেই নির্বাচন হবে।

প্রধান উপদেষ্টা গণভোটের বিষয়ে দুটো ‘ঠুনকো যুক্তি’ দিয়েছেন অভিযোগ করে জামায়াতে ইসলামির এই নেতা বলেন, প্রথমত টাকা সাশ্রয়ের কথা বলা হয়েছে। সাশ্রয় কিছুটা হবে। কিন্তু জাতির প্রয়োজনেই যেমন বাজেট হয়, বাজেট খরচও হয়।

প্রসঙ্গত, প্রেস ব্রিফিংয়ে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ, খেলাফত আন্দোলন, জাগপা, নেজামে ইসলাম পার্টি এবং ডেভেলপমেন্ট পার্টির শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *