আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগরে জব্দকৃত ব্যাপক পরিমাণ বিস্ফোরক একসঙ্গে বিস্ফোরিত হয়ে ৭ জন নিহত হয়েছেন ও ২৭ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে পাঁচজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন।
গত শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) রাতে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। প্রাণহানির সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সূত্র: এনডিটিভি।
জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই পুলিশ সদস্য ও ফরেনসিক বিভাগের কর্মকর্তা। বিস্ফোরক পরীক্ষা করতেই তারা নওগাম থানায় অবস্থান করছিলেন।আহতদের ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৯২ বেস হাসপাতাল এবং শের-ই-কাশ্মীর ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেসে (এসকেআইএমএস) ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা পৌঁছেছেন এবং পুরো এলাকা ঘিরে রাখা হয়েছে।
গণমাধ্যম মারফত আরও জানা গেছে, থানার পুলিশ সদস্যরা ওই এলাকায় সশস্ত্র গোষ্ঠী জইস-ই-মোহাম্মদের পোস্টার লাগানোর বিষয়টির সুরাহা করেছিল। পোস্টারের সূত্র ধরে তারা ব্যাপক বিস্ফোরক উদ্ধার করার দাবি করে। এছাড়া কয়েকজন চিকিৎসককেও গ্রেফতার করার কথা জানান। এর মধ্যে আদিল আহমেদ রাথের নামে এক চিকিৎসককে গত অক্টোবরে গ্রেফতার করা হয়। তিনি এমন পোস্টার লাগাচ্ছিলেন যেখানে নিরাপত্তা বাহিনী ও কাশ্মীরে বহিরাগতদের ওপর বড় হামলার হুঁশিয়ারি বাক্য ছিল। তাকে গ্রেফতারের পর একটি নেটওয়ার্কের সন্ধান পাওয়া যায়, যারা দিল্লিতে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালিয়ে ১৩ জনকে হত্যা করে।
রাথারকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় আরেক চিকিৎসক মুজাম্মিল শাকিলের নাম উঠে আসে। হরিয়ানার ফারিদাবাদের আল–ফালাহ মেডিকেল কলেজে কর্মরত শাকিলের সঙ্গে সম্পৃক্ত বাড়ি থেকে যৌথ অভিযানে প্রায় ৩ হাজার কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট উদ্ধার করা হয়। এরপর শাকিল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষক ডা. শাহীন সাঈদকে গ্রেফতার করা হয়।