ইবি প্রতিনিধি
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের চলমান জুলাই বিপ্লব-বিরোধী অবস্থান গ্রহণকারী শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের বিচারের কার্যক্রমের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে অপরাধীদের তালিকা পুনর্মূল্যায়ন এবং সাময়িক বহিষ্কৃতদের অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া পরিষদ।
বুধবার (১২ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত জিয়া পরিষদের সাধারণ সভায় এ আহ্বান জানান নেতারা। তবে কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যেন শাস্তি না পায় সভায় এ বিষয়েও বিশেষভাবে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফারুকুজ্জামান খান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম-সহ পরিষদের নেতৃবৃন্দ অধ্যাপক ড. আলিনূর রহমান, অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন, অধ্যাপক ড. মতিনূর রহমান, অধ্যাপক ড. নজিবুল হক, অধ্যাপক ড. নূরুন নাহার, অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. আব্দুস সামাদ, অধ্যাপক ড. এ কে এম নুরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. আ হ ম নুরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান, অধ্যাপক ড. আব্দুর রউফ, অধ্যাপক ড. জুলফিকার, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম, অধ্যাপক ড. শরিফুল ইসলাম প্রমূখ।
এসময় বক্তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা যারা চালিয়েছিল, তাদের বিচার ইতিহাসের দাবি। প্রশাসন সঠিক পথে এগোচ্ছে, তবে এই প্রক্রিয়ায় ন্যায়বিচার যেন নিশ্চিত হয়, সেটি সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ববিদ্যালয়কে রাজনীতিমুক্ত, শান্তিপূর্ণ ও জ্ঞানচর্চার অনুকূল পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হলে অপরাধী ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিচারের আওতায় আনতেই হবে।
বক্তারা আরও বলেন, সাজিদ হত্যার বিচারে দীর্ঘসূত্রিতা দুঃখজনক ও উদ্বেগজনক। বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের এক সদস্যের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের এত দিন পরও বিচার সম্পন্ন না হওয়া বিচারহীনতার সংস্কৃতিকে শক্তিশালী করছে। তারা দ্রুত অপরাধীদের শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।এছাড়া, সভায় উপস্থিত নেতারা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনের শাসন, ন্যায়বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।