আন্তর্জাতিক

ট্রাম্প নীতিতে ইতিবাচক হামাস ও জাতিসংঘ, ফের হামলা ইসরায়েলের, শান্তির পথে কাঁটা!

Published

on

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এরপর ইতোমধ্যে ট্রাম্প গাজায় ইসরায়েলকে হামলা বন্ধের আহ্বানও জানান। এদিকে গাজা উপত্যকায় চলমান ইসরায়েলের হামলা নিরসনে যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার বিষয়ে হামাসের দেওয়া ইতিবাচক বিবৃতিকে স্বাগত জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

শনিবার (৪ অক্টোবর) বার্তা সংস্থা আনাদোলু এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। পক্ষান্তরে আজ মধ্যরাতে গাজা উপত্যাকায় ব্যাপক বোমাবর্ষণ চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েল।

গাজার সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসিল বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘গত রাতটি ছিল অত্যন্ত সহিংস। ইসরায়েলি সেনারা গাজা সিটি ও আশপাশের এলাকায় একের পর এক বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণ চালিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আহ্বান সত্ত্বেও তারা বোমাবর্ষণ বন্ধ করেনি। ওই হামলায় অন্তত ২০টি বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে।’

হামাসের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক জানান, ‘মহাসচিব গুতেরেস গাজার মর্মান্তিক সংঘাতের অবসান ঘটানোর জন্য সকল পক্ষকে এই সুযোগ কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন। জিম্মিদের মুক্তি এবং ট্রাম্পের পরিকল্পনার ভিত্তিতে আলোচনায় অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুত থাকার বিষয়ে হামাসের ইতিবাচক সাড়াকে তিনি স্বাগত জানান।’

এর আগে শুক্রবার হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মুসা আবু মারজুক বলেছিলেন, ‘ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার মূল রূপরেখার সঙ্গে ‘নীতিগতভাবে’ সম্মত হয়েছে এবং আলোচনার ইঙ্গিত দিয়েছে।’

স্টিফেন ডুজারিক আরও বলেন, ‘মহাসচিব অবিলম্বে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, সকল জিম্মির অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি এবং নিরবচ্ছিন্ন মানবিক প্রবেশাধিকারের জন্য তাঁর অবিচল আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।’

এই কূটনৈতিক প্রচেষ্টার জন্য আন্তোনিও গুতেরেস মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার এবং মিশরকে তাদের ‘অমূল্য’ ভূমিকার জন্য বিশেষভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন।

কিন্তু আজ ফের হামলা যুদ্ধ সংঘাতকে আরও উস্কে দিয়েছে বলে মনে করছে কূটনীতিবিদরা। এভাবে চলতে থাকলে ট্রাম্প নীতি কার্যকর হবে কিনা প্রশ্ন রয়ে যায়।

এর আগে হামাস যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার পর এবং ট্রাম্প ইসরায়েলকে হামলা বন্ধের নির্দেশ দেওয়ার পর গাজা সিটির বাসিন্দারা নিজ বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছিলেন। তবে পরে দখলদার ইসরায়েল সাধারণ মানুষকে সতর্ক করে জানায়, গাজা সিটি এখনো ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক যুদ্ধপ্রবণ এলাকা’ সেখানে ফিরে গেলে প্রাণহানির ঝুঁকি রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Trending

Exit mobile version