রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় নিজ ঘর থেকে প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায় (৭৫) ও তাঁর স্ত্রী সুর্বণা রায়ের (৬০) গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার, ৭ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের উত্তর রহিমাপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় ও পুলিশের ধারণা, শনিবার, ৬ ডিসেম্বর রাতের যে কোনো তাদের হত্যা করা হয়েছে। তবে কী কারণে এবং কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে সেটি এখনও পরিষ্কার হয়নি। এ ঘটনাকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে রহস্য উন্মোচনের চেষ্টা চলছে।
এদিকে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), পুলিশ ও র্যাবের একটি টিম।
স্থানীয়রা জানান, নিহত যোগেশ চন্দ্র রায় পেশায় একজন শিক্ষক ছিলেন। তিনি এলাকায় সম্মানিত ব্যক্ত ছিলেন। ২০১৭ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন তিনি। তার দুই ছেলে—শোভেন চন্দ্র রায় জয়পুরহাটে চাকরি করেন এবং ছোট ছেলে রাজেশ খান্না চন্দ্র রায় ঢাকায় পুলিশে কর্মরত। গ্রামের বাড়িতে ওই দম্পতি একাই বসবাস করতেন।
আজ সকাল সাড়ে ৭টায় ওই বাড়িতে কাজ করতে যান প্রতিবেশি ও পরিচর্যাকারী দীপক চন্দ্র রায়। তিনি জানান, আজ সকাল ৭টা পর্যন্ত দাদু-দীদা কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছিলেন না। ডাকাডাকি করেও কোনো শব্দ না পেয়ে আশপাশের লোকজনকে ডেকে আনি। পরে মই বেয়ে বাড়ির ভেতরে ঢুকে দেখি, ডাইনিং রুমে দাদুর রক্তাক্ত মরদেহ এবং রান্নাঘরে সুর্বণা দীদার মরদেহ পড়ে আছে। এরপর বিষয়টি থানায় জানানো হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তারাগঞ্জ থানার ওসি ফারুখ আহাম্মেদ বলেন, ‘পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার ও আলামত সংগ্রহ করেছে। দুজনকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। রহস্য উন্মোচনের চেষ্টা চলছে।’
ইউএনও মোনাব্বর হোসেন জানান, ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। খুব দ্রুত সময়ে রহস্য উন্মোচন হবে বলে আশা করছি।