ঢাকা, ২৯ অক্টোবর ২০২৫ — আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন প্রস্তুতির প্রথম সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে সভাপতিত্ব করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। এই সভায় নির্বাচন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
সভায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমরা একটি নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের পথে এগোচ্ছি। নির্বাচন যেন উৎসবমুখর, শান্তিপূর্ণ এবং অংশগ্রহণমূলক হয়, সে লক্ষ্যে আমাদের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।”
🔹 ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা
প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে নির্বাচন কমিশনকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে, যেখানে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে, রমজানের আগে নির্বাচন আয়োজনের অনুরোধ জানানো হয়েছে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ভোটের তারিখের দুই মাস আগে তফসিল ঘোষণা করা হবে, অর্থাৎ ডিসেম্বরের শেষার্ধে তফসিল আসতে পারে।
🔹 আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রস্তুতি
সভায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয় বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হয়। সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ডসহ প্রায় ৮ লাখ সদস্য নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পালন করবেন। ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
🔹 প্রশাসনিক রদবদল
ইতোমধ্যে মাঠ প্রশাসন ও পুলিশে রদবদল শুরু হয়েছে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, তফসিল ঘোষণার পর আরও রদবদল হবে, যাতে নিরপেক্ষতা বজায় থাকে।
🔹 ভোটার তালিকা ও তরুণদের অন্তর্ভুক্তি
সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ চলছে এবং ৩১ আগস্টের মধ্যে চূড়ান্ত হবে। তরুণ ভোটারদের অন্তর্ভুক্ত করতে তফসিলের আগে সম্পূরক তালিকা তৈরি করা হবে।
🔹 ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
প্রধান উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেছেন, এই নির্বাচন হবে বিগত পনের বছরে ভোট দিতে না পারা নাগরিকদের জন্য একটি “মহা-আনন্দের উৎসব”। তিনি নির্বাচনকে স্মরণীয় করে তুলতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ, ভোটার উপস্থিতি এবং আন্তরিকতার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন।