শরীরকে পরিচালনা করতে ও দৈনন্দিন কাজ চালিয়ে যেতে প্রয়োজন এনার্জির। আর তার জন্য আমাদের শরীরে বিপাকের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। খাওয়াদাওয়ার পরে শরীরে যে রাসায়নিক বিক্রিয়া হয়, তাকেই বিপাক বলা যেতে পারে। কোনও কাজ না করেও যে ক্যালরি ক্ষয় হয়, তাকে বলা হয় ‘বেসাল মেটাবলিক রেট’। যদি বিপাকক্রিয়ার হারে গোলমাল হয়, তখনই মেদ জমতে শুরু করে শরীরে। একে বলে ‘মেটাবলিক সিনড্রোম’। এর থেকে রেহাই পেতে স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া করারই পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। পুষ্টিকর খাওয়া ও পরিমাণ মেপে খাওয়াই নিয়ম। তবে এমন কিছু ফল আছে যা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলে পেটের মেদ কমতে পারে। কোন কোন ফল খাবেন ও কখন তা জেনে নিন।
আঙুর
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে আঙুর বেশ উপকারী একটি ফল। এতে ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম। তবে এতে রয়েছে ভরপুর ভিটামিন সি। আঙুরের গ্লাইসেমিক সূচকও অনেক কম। তাই এর স্বাদ মিষ্টি হলেও রক্তে চিনির পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা নেই। গবেষণায় দেখা গিয়েছে আঙুরের রস পান করার ফলে শরীরে ক্যালোরির পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে। ওজনও কমেছে। কোলেস্টেরলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকছে।
আপেল
ক্যালোরির মাত্রা কম অথচ উচ্চ ফাইবার-যুক্ত আপেল ওজন কমাতে সাহায্য করে। একটি মাঝারি মাপের একটি আপেল থেকে ১১৬ ক্যালোরি মেলে ও ৪.৪ গ্রাম ফাইবার পাওয়া যায়। ওজন ঝরিয়ে ছিপছিপে শরীর পেতে ডায়েটে যত ফাইবার রাখা যায় ততই ভাল।
পেঁপে
পেঁপেতে ফ্যাট অনেক কম। প্রায় থাকে না বললেই চলে। পেঁপেতে থাকা এনজাইম হজমে সাহায্য করে। ওজন কমানোর জন্য সঠিক ভাবে হজম হওয়াটা জরুরি। রোজ পেঁপে খেলে শরীর সুস্থ থাকবে। সঙ্গে ওজন কমবেদ্রুত।
তরমুজ
তরমুজে প্রচুর পরিমাণে জল থাকে। এ ছাড়াও রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড, ভিটামিন সি ও এ। যা ওজন কমাতে খুব কার্যকর। প্রতি দিন তরমুজ খেলে মেদ ঝরবে দ্রুত। ওজনও থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
পেয়ারা
এই ফলে উচ্চ মাত্রায় ফাইবার রয়েছে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে পেয়ারা যেমন কাজে আসে, এর গ্লাইসেমিক রেট কম হওয়ায় ওজন কমাতেও সাহায্য করে। একটি মাঝারি মাপের পেয়ারায় থাকে ৩৭ ক্যালোরি। এই ফল থেকে একটুও কোলেস্টেরল পাওয়া যায় না। তাই ওজন কমানোর ডায়েটে নিশ্চিন্তে এই ফল রাখা যায়।