অলটাইম নিউজ ডেস্ক
আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে সংঘটিত গুমের অভিযোগে দায়ের করা দুটি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদসহ মোট ৩০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
বুধবার সকালে প্রসিকিউশন আনুষ্ঠানিকভাবে এই অভিযোগপত্র ট্রাইব্যুনালে জমা দেয়। শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার নির্দেশ দেন।
দুই মামলার একটিতে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গুম করে র্যাবের টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশন (টিএফআই) সেলে আটক রেখে নির্যাতনের অভিযোগে শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় রাজধানীর রামপুরায় সংঘটিত ২৮ জনের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় বিজিবির সাবেক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেদোয়ানুল ইসলামসহ চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল। তাদের বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
এই মামলার বাকি তিন আসামি হলেন বিজিবির মেজর মো. রাফাত বিন আলম মুন, ডিএমপির খিলগাঁও অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. রাশেদুল ইসলাম এবং রামপুরা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান।
২০২৪ সালের আন্দোলনের সময় রামপুরা এলাকায় যারা নিহত হন, তাদের মধ্যে বেশিরভাগই তরুণ ছাত্র ও বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী সাধারণ মানুষ ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই সময় বিজিবি কর্মকর্তা রেদোয়ানুল ইসলাম আন্দোলনকারীদের ওপর সরাসরি গুলি চালান, আর অন্য কর্মকর্তারাও সেই অভিযানে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে তদন্ত সংস্থা চারজন আসামির বিরুদ্ধে প্রমাণসহ একটি রিপোর্ট দাখিল করে, যার ভিত্তিতে ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
এদিকে, ট্রাইব্যুনালের একটি পৃথক পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, যদি কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়, তাহলে তিনি কোনো নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।