ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হল–সংলগ্ন পুকুর থেকে মেধাবী শিক্ষার্থী সাজিদ আবদুল্লাহ’র ভাসমান মরদেহ উদ্ধারের ঘটনা তদন্তে গঠিত ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি ইতোমধ্যে প্রশাসনকে জমা দিয়েছেন তদন্ত রিপোর্ট।
সোমবার (৪ জুলাই) আইসিটি সেলের নিয়ন্ত্রণে থাকা সিসি ক্যামেরাগুলোর মধ্যে একটি ক্যামেরার গুরুত্বপূর্ণ নির্দিষ্ট সময়ের ফুটেজ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি। তবে সব ফুটেজ আছে বলে দাবি আইসিটি সেল পরিচালকের।
জানা গেছে, লাশ উদ্ধারের আগের দিন (১৬ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টায় সাজিদ ফুটবল মাঠে খেলছিলেন। যা ৪টার পর খেলা শেষ হয়। আইসিটি সেল নিয়ন্ত্রিত ডায়না চত্বরের সিসি ক্যামেরায় ফুটবল মাঠ সংলগ্ন রাস্তাটি কাভার করে। তবে আইসিটি সেল থেকে প্রাপ্ত ফুটেজে বিকেল ৪টা থেকে রাত ১১টার ভিডিও ফুটেজ নেই বলে জানিয়েছেন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিংস কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন।
এদিকে ‘সিসিটিভি ফুটেজ গায়েবের অভিযোগ তুলে আইসিটি পরিচালককে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে হবে’ মর্মে দাবি করে আজ সন্ধ্যায় প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।
সিসিটিভি ফুটেজ গায়েবের প্রতিবাদে মানববন্ধন
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. শাহজাহান আলী বলেন, ‘আইসিটি সেলের সার্ভারে মূল ফুটেজ ঠিক আছে। সব ভিডিও আমাদের কাছে আছে। তদন্ত কমিটি যে কপি নিয়েছেন সম্ভবত সেই ফুটেজে বা ডিভাইজে কোনো টেকনিক্যাল ইস্যু থাকতে পারে। মূল সার্ভারে সব ফুটেজ আছে তবে কিছু টাইম এলোমেলো পাওয়া যায়। ক্যামেরার বায়োসের ব্যাটারির সমস্যার কারণেও এমন হতে পারে। তদন্ত কমিটি চাইলে পুনরায় দেখতে পারে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, ‘তদন্ত কমিটির কাছ থেকে ফুটেজ ঘাটতির কথা আজকে জানতে পেরেছি। ফুটেজে কোনো সমস্যা আছে কি-না সেটা আমরা খতিয়ে দেখবো।’
উল্লেখ্য, গত ১৭ জুলাই সাজিদের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে ৩ আগস্ট প্রকাশিত সাজিদে ফরেনসিক রিপোর্টে শ্বাসরোধজনিত হত্যাকাণ্ড উল্লেখ করা হয়। প্রাথমিক ময়নাতদন্তের সময় থেকে আনুমানিক ৩০ ঘণ্টা আগে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। একইদিনে এ বিষয়ে ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি উচ্চতর তদন্তের সুপারিশ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন পিবিআইকে তদন্তভার দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।