নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পাকিস্তান-বাংলাদেশ ‘নলেজ করিডোর’-এর অংশ হিসেবে ঢাকায় শুরু হয়েছে পাকিস্তান শিক্ষা প্রদর্শনী। এতে অংশ নিচ্ছে দেশটির ১৫টিরও বেশি শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়। সোমবারের এই আয়োজনে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষায় ৫০০ বৃত্তির সুযোগের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।
ঢাকাস্থ পাকিস্তান হাইকমিশন ও পাকিস্তানের উচ্চশিক্ষা কমিশনের (এইচইসি) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই প্রদর্শনীতে চিকিৎসা, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিষয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের ধারণা দেওয়া হচ্ছে।
গত আগস্টে পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিনেটর মুহাম্মদ ইসহাক দারের বাংলাদেশ সফরের সময় এই ‘নলেজ করিডোর’ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। সে সময় তিনি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য এই ৫০০ বৃত্তির ঘোষণা দেন।
সোমবার ঢাকায় প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব-উল-আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সচিব ড. মো. ফখরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার বলেন, গত আগস্টে উপ-প্রধানমন্ত্রীর সফরের সময় দেওয়া প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন এই প্রদর্শনী।
তিনি বলেন, “নলেজ করিডোর একাডেমিক গতিশীলতা, যৌথ গবেষণা এবং ভবিষ্যৎমুখী তরুণ প্রজন্ম গড়ার একটি শক্তিশালী ভিত্তি।
চিকিৎসাবিজ্ঞান, প্রকৌশল, আইটি, সামাজিক বিজ্ঞান, কৃষি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো উদীয়মান প্রযুক্তিতে পাকিস্তানের দক্ষতা রয়েছে। এই উদ্যোগ কেবল একাডেমিক সহযোগিতা নয়, বরং এটি বন্ধুত্ব, বিশ্বাস এবং অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির প্রতীক।”
প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া সচিব মো. মাহবুব-উল-আলম বলেন, শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে যুবসমাজের ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের যে লক্ষ্য, তার সঙ্গে এই উদ্যোগ সামঞ্জস্যপূর্ণ। তিনি চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও সিলেটে পরবর্তী প্রদর্শনীগুলোর বিষয়ে পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস দেন।
অনুষ্ঠানে পাকিস্তানি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতিনিধিদলের পক্ষে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব কম্পিউটার অ্যান্ড ইমার্জিং সায়েন্সেস-এর রেক্টর আফতাব আহমেদ বিভিন্ন বিষয়ে বৃত্তির সুযোগ ও নলেজ করিডোর নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনা তুলে ধরেন।
দিনব্যাপী এই প্রদর্শনীতে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী ভিড় করেন। তারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে ভর্তি প্রক্রিয়া, প্রোগ্রামের ধরণ ও বৃত্তির বিষয়ে খোঁজখবর নেন।
আয়োজকরা জানান, ঢাকার পর ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম, ২৮ নভেম্বর রাজশাহী এবং ৩০ নভেম্বর সিলেটে এই শিক্ষা প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে।