Connect with us

ক্যাম্পাস

ইবি শিক্ষার্থীদের কোটা-বিরোধী মানববন্ধন, কী ভাবছে কেন্দ্র

আশরাফুল ইসলাম, ইবি:

চলমান গুচ্ছভুক্ত ভর্তি পরীক্ষার ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে কোটা প্রথা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এসময় ইবি ক্যাম্পাসে উপজাতি ও শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যতীত সকল কোটা বাতিলের দাবি জানিয়েছে তারা। এক পর্যায়ে অবরোধ সহ দুর্বার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন উপস্থিত বক্তারা।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিকাল ৩ টায় দিকে বিশ্বিবদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা। এসময় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শাখা সমন্বয়ক এস এম সুইট, সহ-সমন্বয়ক তানভীর মাহমুদ মণ্ডল, বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস ইবি শাখার সভাপতি সাদেক আহমেদ-সহ সাধারণ শিক্ষার্থী।

এসময় উপস্থিত শিক্ষার্থীদের হাতে ‘প্রশাসন কি আবারও রক্ত দেখতে চাই?’, ‘প্রশাসন তুমি কার?’, ‘কোটা বিলুপ্তিতে আবারও রক্ত দিবো?’, ‘কাদের স্বার্থ রক্ষায় এখনো কোটা?’, ‘কোটার জন্য আন্দোলন করে আবারও কোটা কেন?’ ইত্যাদি প্লেকার্ড দেখা যায়।

এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সহসমন্বয়ক তানভীর মাহমুদ মণ্ডল বলেন, ’বিগত স্বৈরাচার সরকার কোটা সংস্কার করতে ব্যর্থ হয় এবং কোটা সংস্কারের তীব্র আন্দোলনের মুখে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। কিন্তু সেই কোটা এখনো বহাল আছে। আমরা প্রশাসন-সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে বলতে চাই- অচিরেই কোটা প্রথা বাতিল করতে হবে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় কী করলো সেটা দেখার বিষয় নয়, আমাদের বিশ্বিবদ্যালয় চলবে আমাদের গতিতে। আমাদের স্পষ্ট বার্তা, উপজাতি এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যতীত সকল কোটা বাতিল করতে হবে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, ‘জুলাই বিল্পব হয়েছিল কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে, পরে সেটি এক দফায় রুপান্তরিত হয়। ফলে পতিত স্বৈরাচার সরকার পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। যদি প্রশাসন কোটাপ্রথা বন্ধ না করে তাহলে আগামীকাল বিশ্ববিদ্যালয় ব্লকেড করে দিতে বাধ্য হবো। প্রয়োজনে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে আলোচনা করে কোটা প্রথা সমাধান করতে হবে।’

কোটা বিষয়ে জানতে চাইলে গুচ্ছভুক্ত ভর্তি পরীক্ষা কমিটির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক ও মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ বলেন, ‘কোটা ইস্যুটা আমাদের সমন্বিত সভায় আলোচনা করা হয়েছে। যদিও কিছু বিশ্ববিদ্যালয় পোষ্য কোটা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে। এখানে মেধার ভিত্তিতে যে আসনগুলো আছে সেগুলো থাকবে। সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় মেধার বাহিরে এসে কোটা যুক্ত থাকছে। অর্থাৎ মেধাবীদের তেমন সমস্যা হওয়ার কথা না। এছাড়া জুলাই বিপ্লবে অংশগ্রহণকারীদের বিশেষ সুবিধার কথা বলা হয়েছে- হতে পারে আর্থিক সুবিধা বা অন্যান্য তবে এটা ধারাবাহিক কোটা না।’

নির্দিষ্ট কোনো বিশ্ববিদ্যালয় কোটা ইস্যুতে একক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘পরবর্তী কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হলে সবাই মিলে আলোচনা সভায় নিতে হবে। তবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ-পরিস্থিতি সম্পর্কে তো আমার ধারণা নাই। সংশ্লিষ্ট ভিসি মহোদয় ভালো ধারণা রাখতে সক্ষম।’

এবিষয়ে জানতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহকে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতোমধ্যে ভর্তির নোটিশ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। ২৪ তারিখ থেকে ২৬ তারিখ পর্যন্ত কোটায় ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। সিদ্ধান্ত পরিবর্তনও বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে গুচ্ছভুক্ত কমিটির।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright © 2025. powered by All Time News.