Connect with us

top3

জবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ট্রাফিক সহায়তাকারীদের সংঘর্ষ, আহত ৭

Published

on

ডেস্ক নিউজ  

পুরান ঢাকার দয়াগঞ্জ মোড়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) একজন নারী শিক্ষার্থীসহ সাতজন শিক্ষার্থী এবং ট্রাফিক পুলিশের সহকারী সার্জেন্ট ও ট্রাফিক সহায়তাকারীদের দ্বারা মারধরের ঘটনা ঘটেছে। আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন— তালহা, আল–আমিন, সোহেল, চৈতি আলম, মোহন খন্দকার, সোহান প্রামাণিক এবং আল–আমিন। গতকাল রবিবার (২৩ নভেম্বর) এ ঘটনা ঘটে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল দুপুর ১২টার দিকে মাগুরাগামী সাদ সুপার নামের একটি বাস জবির শিক্ষার্থীদের নিয়ে দয়াগঞ্জ মোড়ে সিগনালে থামে। ভূমিকম্পে আতঙ্কিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হওয়ার ফলে তারা সবাই বাড়িতে ফিরছিলেন। এসময় কিছু শিক্ষার্থী যানজট দূর করার জন্য বাস থেকে নামলে দায়িত্বে থাকা তিনজন ট্রাফিক সহায়তাকারী তাদের পরিচয় জানতে চান। শিক্ষার্থীরা জবির সদস্য হিসেবে পরিচয় দিলে, সহায়তাকারীরা তাদেরকে অশালীন ভাষায় তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করলে, তারা শিক্ষার্থীদের পুলিশ বক্সে নিয়ে গিয়ে লাঠিপেটা করেন বলে অভিযোগ করেন তারা। ঘটনার পর ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা দয়াগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশ বক্স ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এক পর্যায়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হলে, পরে পুলিশ ও সেনা যৌথভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আহত শিক্ষার্থী তালহা আহমেদ বলেন, আমরা বাস ছেড়ে দেওয়ার জন্য ট্রাফিক সদস্যদের কাছে অনুরোধ করি। তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের কয়েকজনকে মারধর করে।

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সোহান প্রামাণিক বলেন, জুনিয়রদের মারধরের খবর পেয়ে বক্সে গেলে আমাকে ভিতরে নিয়ে লাঠিপেটা করা হয়। আমার কপাল ফেটে যায়।

এ বিষয়ে গ্যান্ডেরিয়া থানার ওসি গোলাম মর্তুজা জানান, শুরুতে আটক করা ট্রাফিক সহায়তাকারীদের পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের নিরাপত্তার কারণে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, কারো বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে মামলা করা হয়নি।

ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার হারুন অর রশিদ বলেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথাকাটাকাটির পর হাতাহাতি হয়, পরে শিক্ষার্থীরা পুলিশ বক্স ঘেরাও করে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি এবং চারজনকে আটক করি। তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *