আজ শুক্রবার (২১ নভেম্বর ২০২৫) সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে রাজধানী ঢাকাসহ রাজধানীর আশপাশের এলাকায় প্রবল ভূমিকম্প অনুভূত হয়। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫.৭, আর মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (USGS) জানিয়েছে এটি ছিল প্রায় ৫.৫ মাত্রার। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদীর মাধবদী, যা ঢাকা থেকে মাত্র ১৩ কিলোমিটার দূরে। ভূমিকম্পটি কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হলেও এর প্রভাব ছিল ব্যাপক।
ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের খবর
প্রাণহানি: প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, অন্তত ৪ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার বংশালে একটি পাঁচতলা ভবনের রেলিং ভেঙে পড়লে তিনজন পথচারী মারা যান, আর নারায়ণগঞ্জে দেয়াল ধসে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
আহত: গাজীপুরে একটি পোশাক কারখানায় প্রায় ৩০ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন। এছাড়া গাবতলীতে ছাদ ধসে তিনজন আহত এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থী আতঙ্কে লাফিয়ে পড়ে আহত হয়েছেন।
ঢাকার সূত্রাপুর ও কলাবাগানে কয়েকটি ভবনে ফাটল দেখা গেছে। নরসিংদী ও আশপাশের এলাকায় দোকান ও বাড়িতে ফাটল ধরার খবর পাওয়া গেছে।
ভূমিকম্পে বিল্ডিং ধ্বসে সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের বায়ান্ন ব্যাচের একজন শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ভূমিকম্পের প্রভাব
ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় মানুষ আতঙ্কে ঘর থেকে বেরিয়ে রাস্তায় চলে আসেন। বহুতল ভবনের বাসিন্দারা কম্পন বেশি অনুভব করেছেন।
বরিশাল, চাঁদপুর, নারায়ণগঞ্জ, বগুড়া, মৌলভীবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এমনকি ভারতের কলকাতাতেও হালকা কম্পন টের পাওয়া গেছে
বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা
ভূতত্ত্ববিদরা বলছেন, ঘন ঘন ছোট ও মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প বড় ধরনের বিপর্যয়ের পূর্বাভাস হতে পারে। বাংলাদেশ তিনটি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত হওয়ায় বড় ভূমিকম্পের ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি। বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হয়, তবে ঢাকায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ হতে পারে