ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য চত্বরে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ‘ইসকন’ নিষিদ্ধের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। রাত ১১টার পর শুরু হওয়া এই বিক্ষোভে শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন। তারা বিভিন্ন স্লোগান ও ব্যানার নিয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। শিক্ষার্থীদের দাবি, ইসকনের কিছু সদস্য বাংলাদেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করছে এবং সহিংসতা ও দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত রয়েছে।
বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, ইসকনের সদস্যরা বিভিন্ন সময় মুসলিম ধর্মীয় নেতাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছে এবং সরাসরি নির্যাতনের সঙ্গে যুক্ত থেকেছে। তারা পঞ্চগড়ের একটি ঘটনায় খতিব মহিবুল্লাহকে অপহরণ ও নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ধরেন, যেখানে ইসকনের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে দাবি করা হয়। এছাড়া আদালত চত্বরে আইনজীবী হত্যার ঘটনাতেও ইসকনের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, ইসকন দীর্ঘদিন ধরে স্বৈরাচারী শক্তির ছত্রছায়ায় থেকে বাংলাদেশে ভারতীয় প্রভাব বিস্তার করছে। তারা দাবি করেন, ইসকনকে ব্যবহার করে বাংলাদেশে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় বিভাজন সৃষ্টি করা হচ্ছে, যা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি। শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, ইসকনের কার্যক্রম ধর্মীয় উগ্রতা ও সাম্প্রদায়িকতা ছড়ানোর মাধ্যমে দেশের স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করছে।
বিক্ষোভকারীরা সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তাদের অভিযোগ, এতসব অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও সরকারের পক্ষ থেকে ইসকনের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তারা অবিলম্বে সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান এবং বলেন, দেশের শান্তি ও ধর্মীয় সহাবস্থানের স্বার্থে ইসকনের কার্যক্রম বন্ধ করা জরুরি।
এই বিক্ষোভের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা একটি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন যে, তারা ধর্মীয় উগ্রতা ও সহিংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার এবং দেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ইসকনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
::অল টাইম নিউজ ডেস্ক::