আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ওয়াশিংটন সফরে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারাকে তার স্ত্রীর উপস্থিতিতেই তিনি সিরিয়ার প্রেসিডেন্টকে সরাসরি জিজ্ঞেস করেন- ‘তোমার স্ত্রী কয়টা?’
একটি ভিডিওতে দেখা যায়, আল-শারা হোয়াইট হাউসের মূল ফটকের পরিবর্তে পাশের একটি ফটক দিয়ে প্রবেশ করার আগেই সাংবাদিকেরা শারাকে তার অতীত নিয়ে বিব্রতকর প্রশ্ন করতে থাকেন। তবে শারা এসবে কর্ণপাত করেননি।
ভিডিওতে দেখা যায়, এরপর হোয়াইট হাউসেও খোদ আমন্ত্রণদাতা ট্রাম্প তাকে একই রকম বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলেন তাকে। ট্রাম্প আল-শারাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর পর নিজের ব্র্যান্ডের কোলোনের সোনালি ঢাকনার একটি পারফিউম স্প্রে বের করেন ট্রাম্প। সেটির ঢাকনা খুলে ট্রাম্প বলেন, ‘এটা পুরুষদের জন্য পারফিউম। এটা সবচেয়ে ভালো সুগন্ধি, ঠিক আছে?’ তবে এ বিষয়ে আল-শারাকে খুব একটা আগ্রহী বলে মনে হয়নি।
এরপর ট্রাম্প আরও একটি পারফিউমের বোতল এগিয়ে দেন শারার দিকে এবং বলেন, দ্বিতীয় বোতলটি তার স্ত্রীর জন্য। এরপর মজার ছলে জিজ্ঞেস করেন, ‘তোমার কয়জন স্ত্রী আছে? একজন?’ এরপর আল-শারা যখন হেসে জানান যে তার মাত্র একজনই স্ত্রী আছেন, তখন ট্রাম্প হেসে তার হাতে চাপড় দেন।
এ সময় ট্রাম্প আল-শারাকে অপ্রস্তুত করে আবারও বলেন, ‘তোমাদের ক্ষেত্রে আমি কখনো নিশ্চিত হতে পারি না।’ ইসলামে কঠোর শর্ত সাপেক্ষে চারজন স্ত্রী রাখার অনুমতির প্রসঙ্গ টেনে ট্রাম্পের এই রসিকতা একদম বিপরীত এক পরিবেশের ইঙ্গিত দেয়।
এসময় আল-শারার পাশেই তার স্ত্রী লতিফা আল–দ্রৌবি উপস্থিত ছিলেন। আহমেদ আল-শারার স্ত্রীর নাম লতিফা আল-দ্রৌবি। তার জন্ম ১৯৮৪ সালের দিকে। দামেস্ক ইউনিভার্সিটিতে পড়ালেখা করার সময় আল-শারার সঙ্গে তার পরিচয়। তারা ২০১২ সালের দিকে বিয়ে করেন। এই দম্পতির তিন সন্তান রয়েছে।
গত সোমবার আল-শারার সফরের জন্য ট্রাম্প প্রশাসন বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয়। তবে সিরিয়ার প্রেসিডেন্টকে সাধারণ রাষ্ট্রীয় অতিথিদের মতো সম্মান দেওয়া হয়নি।
তবে প্রথা অনুসারে তিনি মূল ফটক দিয়ে প্রবেশ করেননি, তাকে হোয়াইট হাউসের ওয়েস্ট উইংয়ের সামনে লিমোজিন থেকেও নামানো হয়নি, তাঁর দেশের পতাকা হোয়াইট হাউসে ছিল না। এমনকি হোয়াইট হাউসের দরজায়ও কেউ তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানায়নি।