ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল থেকে মনোনীত কমনরুম, পাঠকক্ষ ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক প্রার্থী উম্মে ছালমা ক্রমাগতভাবে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ও সাইবার বুলিয়ের শিকার হচ্ছেন। এসব কুরুচিপূর্ণ ও সাইবার বুলিংয়ের অভিযোগ ছাত্রদল, যুবদল নেতা ও ছাত্রলীগের সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে। সাইবার বুলিংয়ের বিপরীতে সংবাদ সম্মেলন এবং অভিযোগ জানিয়েও কোনো ফলাফল আসেনি বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) উম্মে ছালমা নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ক্রমাগত সাইবার বুলিংয়ের বিষয়গুলো তুলে ধরেন। মো. আরিফ নামের এক যুবদল নেতা হাবিব ছালমার ইনবক্সে লিখেন, কীরে মাগী, ছাত্রদলের ধোন পছন্দ না শিবিরের ধো* পছন্দ। এর আগে গত ১২ আগস্ট উম্মে ছালমা সাইবার বুলিংয়ের প্রতিবাদের সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। উম্মে ছালমা বলেন, বোরকা-হিজাব পরলে কি নারী মনে হয় না? জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল নেতার কটূক্তির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছি, অভিযোগ করেছি , কিন্তু কোনো ফলাফল আসেনি। নারীর নিরাপত্তা ও অধিকার থেকে প্রতিবাদ না করে সবাই রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা নিয়ে সিলেক্টেড ভণ্ডামির প্রতিবাদ করে। সত্যি যদি নারীর সম্মানের কথা মাথায় থাকত, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জুমার ছবি দিয়ে পর্ন ভিডিও বানানো কিংবা সাকাফির সঙ্গে সাইবার বুলিংয়ের ঘটনার প্রতিবাদ করা হতো।
তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, ছাত্রদলের নেত্রী মানসুরা হলের নারী শিক্ষার্থীদেরকে সেবাদাসী, রাজনৈতিক পোস্টার গার্ল’ বলেছে। ছাত্রলীগের হেমা চাকমা বাম জোট থেকে নিজে প্রার্থী হয়েও আরেক প্রার্থীকে গালি দিচ্ছে। আবার ছাত্রলীগ ছেড়ে ছাত্রদলের প্যানেলে যাওয়া এক আপা অন্য প্রার্থীর চুল ছিঁড়তে চাইছে। শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠে পড়াশোনা করে যদি মুখের ভাষা এ রকম হয়, তাহলে গ্রামের বিএনপির লোকজনকে আর কী বলবো?”
উম্মে ছালমা বলেন, আমরা হিজাব পড়া নারী শিক্ষার্থীরা যখন সাইবার বুলিংয়ের শিকার হই, আমাদেরকে নিয়ে কেউ কথা বলে না। আমাদেরকেই প্রতিবাদ করতে হয়। তখন শিক্ষক, ছাত্রনেতা রাজনীতিবিদ কেউ পাশে দাঁড়ায় না। কেউ মনে করে না যে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, আমাদের সাথে এগুলো বন্ধ হওয়া উচিত।