নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ঘর ভাড়া নিয়ে ওয়ার্ড বিএনপির কার্যালয় নির্মাণ করেন দলটির স্থানীয় নেতাকর্মীরা। কিন্তু গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে ওই ঘরের আর কোনো ভাড়া পরিশোধ করেননি তারা। বারবার ভাড়া পরিশোধের তাগাদা দিলেও তা দেওয়া হয়নি। বরং ঘরের মালিককে ওয়ার্ড বিএনপির কার্যালয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে দলটির স্থানীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের সালমদী বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জাহাঙ্গীর হোসেন (৫৮) ওই এলাকার তালেব আলীর ছেলে। সালমদী বাজারে তার ৪টি দোকান রয়েছে। তিনি পেশায় মুদি দোকানি ছিলেন।
নিহতের ছেলে রাসেল হোসেন জানান, গত ৫ আগস্টের পর বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমনের অনুসারী ও মাহমুদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক তোতা মেম্বার সালমদী বাজারে তার বাবার কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা ভাড়ায় তিনটি দোকান ভাড়া নেন। এর একটি দোকানে বিএনপির কার্যালয় (মাহমুদনগর ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ড বিএনপি) স্থাপন করেন। বাকি দুটি দোকানের ভাড়া পরিশোধ করলেও যে দোকানটিতে বিএনপির কার্যালয় স্থাপন করেছেন সেই ভাড়ার ১০ হাজার টাকা পরিশোধ করছিলেন না। এ নিয়ে বিরোধ তৈরি হয়।
তিনি আরও জানান, আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তার বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন ভাড়া চাইতে বিএনপি কার্যালয়ে তোতা মেম্বারের কাছে যান। ভাড়া চাইলে তোতা মেম্বার টালবাহানা শুরু করেন এবং তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তোতা মেম্বার জাহাঙ্গীরকে চড় দেন। এ খবর পেয়ে তোতা মেম্বারের ছেলে খোকন, রাসেল, ভাতিজা সাদ্দাম, আলমসহ আরও কয়েকজন তার বাবাকে বিএনপি কার্যালয়েব ভেতরেই এলোপাতাড়ি মারধর করেন। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় জাহাঙ্গীরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।এ ঘটনার পর থেকেই বিএনপি নেতা তোতা মেম্বার ও তার অনুসারীরা আত্মগোপনে চলে যান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার নাসির উদ্দিন বলেন, ‘নিহত জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে দোকান ভাড়া নিয়ে বিএনপির অফিস বানিয়েছিলেন সুমন অনুসারী তোতা মিয়া। সেই দোকানের ভাড়ার টাকা না দেওয়াকে কেন্দ্র করে জাহাঙ্গীরকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’