গাজামুখী ত্রাণবাহী নৌবহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার অন্তত আটটি জাহাজ জব্দ করেছে ইসরায়েল। সেইসাথে, আটক করা হয়েছে অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গসহ জাহাজগুলোয় থাকা মানবাধিকার কর্মীদের। ওই বহরেরই একটি নৌযানে আছেন বাংলাদেশের মানবাধীকারকর্মী ও ফটোগ্রাফার শহিদুল আলমও।
বাংলাদেশ ভ্রমণগেল দুদিন ধরেই তাই অনেকেরই প্রশ্ন, কী এই সুমুদ ফ্লোটিলা? এর কাজই বা কী?গাজায় চলমান অবরোধ ও গণহত্যা বন্ধে বিশ্বব্যাপী মানবিক উদ্যোগ থেকে যাত্রা শুরু এক সংগঠনের। চিকিৎসক, আইনজীবী, শিল্পী, ধর্মীয় নেতা ও নাবিকসহ ৪০টিরও বেশি দেশের সাধারণ মানুষ এই উদ্যোগে যুক্ত হন। এ মিশনের নামই ‘গ্লোবাল সমুদ ফ্লোটিলা বা জিএসএফ’।
সংগঠকরা জানান, এটি গাজার অবৈধ অবরোধ ভাঙতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বেসামরিক নৌ-মিশন। কোনো রাষ্ট্র বা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় এই উদ্যোগ। লক্ষ্য একটাই—গাজার জন্য মানবিক করিডোর খুলে দেওয়া।সংগঠনের ওয়েবসাইটে আগেই জানানো হয়েছিল, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর ২০২৫-এ বিশ্বের বিভিন্ন বন্দর থেকে ছোট-বড় নৌযান গাজামুখী যাত্রা করবে। এতে অংশ নেবেন গ্লোবাল মার্চ টু গাজা, সুমুদ কনভয়, সুমুদ নুসান্তারা ও ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের কর্মীরা।
সংগঠকরা বলেন, ‘আমাদের একটাই অঙ্গীকার—ন্যায়বিচার, স্বাধীনতা ও মানবজীবনের মর্যাদা।’ তারা আরও জানান, এই অভিযানের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ ও আন্তর্জাতিক সংহতিকে নতুন মাত্রায় নেওয়া হবে।
সুমুদ ফ্লোটিলার সঙ্গে যুক্ত অধিকারকর্মীরা জানান, মানবিক এই নৌ-মিশনের লক্ষ্য বিশ্বজনমতকে গাজার পাশে দাঁড় করানো এবং ইসরায়েলের অবরোধ ভাঙতে আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করা।