ডেস্ক নিউজ
নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি ঘোষণা করেছেন, তিনি ক্ষমতার স্বাদ নিতে আসেননি, ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করে দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) কাটমান্ডু পোস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুশীলা কার্কি বলেন, “আমার দল এবং আমি এখানে ক্ষমতার স্বাদ নিতে আসিনি। আমরা ছয় মাসের বেশি থাকব না। নতুন সংসদের কাছেই দায়িত্ব হস্তান্তর করব।”
৭৩ বছর বয়সী সুশীলা কার্কি সাম্প্রতিক ‘জেন-জি আন্দোলনের’ প্রশংসা করে জানান, আন্দোলনে নিহতদের শহীদ স্বীকৃতি দেওয়া হবে এবং প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ১০ লাখ নেপালি রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। আহতদের চিকিৎসা ব্যয়ও বহন করবে সরকার।
তিনি বলেন, “মাত্র ২৭ ঘণ্টার বিক্ষোভে এমন রূপান্তর আমি আগে দেখিনি। তবে আন্দোলনের নামে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট হয়েছে, যা ষড়যন্ত্রমূলক মনে হচ্ছে। এসব ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত হবে এবং যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।”
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে তার অগ্রাধিকার হবে পুনর্গঠন ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা। সুশীলা কার্কি বলেন, নেপাল বর্তমানে একটি বড় অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং এই সংকট থেকে উত্তরণেই সরকার কাজ করবে।
দ্যা হিমালয়ান টাইমস জানায়, সাম্প্রতিক বিক্ষোভে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭২-এ দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ৫৯ জন বিক্ষোভকারী, ১০ জন কারাবন্দি ও তিনজন পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছেন।
এদিকে, নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কাটমান্ডুতে মার্কিন দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানায়, শান্তি ও শৃঙ্খলা পুনর্বহাল এবং গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সমাধানের প্রচেষ্টাকে তারা অভিনন্দন জানায়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পাওদেল ও তরুণ নেতাদের উদ্যোগ প্রশংসনীয়। সহিংসতায় প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র শোক প্রকাশ করেছে। একইসঙ্গে শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং ক্ষমতা হস্তান্তরে নেপালি সেনাবাহিনী ও সেনাপ্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগদেলের ভূমিকারও প্রশংসা করে যুক্তরাষ্ট্র।