জুলাই গণঅবভ্যুত্থান এবং জুলাই সনদ আবেগ থেকে এখন রাজনৈতিক ভেদাভেদ এবং মাঠের বাইরে গড়িয়ে নির্বাচনের দিকে দৌড় শুরু করেছে। জুলাই সনদকে বাস্তবায়নে গণভোটের পক্ষে বিপক্ষে স্পষ্টত দুই বোরো দলের দুই মেরুতে অবস্থান।
প্রশ্ন উঠেছে জামাত ইসলামী জাতীয় নির্বাচনের কেন আগেই গণভোট চাচ্ছে? তারা কি তাদের জনপ্রিয়তা যাচাই করতে চাচ্ছে? না এমন যদি হয় যে জামাত ইসলামী বাংলাদেশ যে উদ্দেশ্যে গন ভোট চাচ্ছে সেই উদ্দেশ্য যদি গণভোটের মাধ্যমে হা ভোট যদি জয়লাভ করে তাহলে জাতীয় নির্বাচনে তাদের ফলাফল পক্ষে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কি? এমন কি বিএনপি কি ভয় পাচ্ছে যে জাতীয় নির্বাচনের আগে জুলাই অভ্যুত্থানের পক্ষে যদি হা জয়যুক্ত হয় তাহলে জাতীয় নির্বাচনে তাদের ভরাডুবি হবে? না জামাতে ইসলামী প্রকৃতপক্ষেই জুলাই অভ্যুত্থানকে ধারণ করেছে এবং জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণের উদ্দেশ্যেই আগে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন চাচ্ছে? এর মানে কি বিএনপি জুলাই অভ্যুত্থানকে ধারণ করতে পারেনি, না তাদের পরাজয় বা ভরাডুবি হওয়ার আশঙ্কায় তারা আগেই সাধারণ মানুষের মাঝে অতীতের বিএনপির সম্পর্কে যে পজেটিভ ধারণা আছে, সেটার রিফ্লেকশন আগেই জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে কাজে লাগিয়ে সরকার গঠন করতে চাচ্ছে, যেন আগে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পক্ষে গণভোটে তাদের পরাজয়ের মাধ্যমে বিএনপির অতীত যে সুখ্যাতি আসছে সেটা নষ্ট না হয়!
জামায়াত যদি জাতীয় নির্বাচনের আগেই কোনো গুরুত্বপূর্ণ নীতিগত ইস্যু বা “জুলাই সনদ”প্রজ্ঞাপনের ওপর গণভোট চান, তাহলে এর পেছনে নানা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে—জনপ্রিয়তা যাচাই, নির্বাচনী সূচনাকে প্রভাবিত করা, ৭১-পরবর্তী ঐতিহাসিক প্রকরণ নিয়ে জনমত কণ্ট্রোল করা বা বিরোধীদলকে দুর্বল করে তোলা। তবে গণভোটে ‘হ্যাঁ’ জয় পাওয়া নিজে থেকেই পরে জাতীয় নির্বাচন জিতার নিশ্চয়তা নয় বলে মনে করেন অনেকেই। এই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যদিওবা সম্প্রতি চার চারটি বিশবিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ এ জামাত সমর্থিত ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির নিরংকুশ জয় পেয়েছে, কিন্তু জাতীয় নির্বাচন ভিন্ন হবে। অন্যদিকে রাজনীতি বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করেন জামাত এখন ৭১ থেকে অনেক দূরে এবং মৌখিক বুলির চেয়ে বাস্তবিক ভাবে দেশপ্রেমের সাক্ষ্য রেখেছে। বিশেষ করে বিশবিদ্যালয়ের তরুণরা যখন এটার সাক্ষী তখন এর প্রভাব জাতীয় নির্বাচনে পড়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ নয় বরং বিশবিদ্যালয়ের মতো কোনো কোনো আসনে প্রতিফলন ঘটতে পারে।