ডেস্ক নিউজ
ফিলিস্তিনের গাজায় ঘরহীন ৫০০ নারী-পুরুষ ও শিশুর জন্য ৬৫ তাঁবু নির্মাণ করে দিয়েছে বাংলাদেশি সেবা সংস্থা হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটি অব বাংলাদেশ।
গাজার দেইর আল-বালাহে অসহায়দের জন্য এ তাঁবু ক্যাম্প নির্মাণ করে সংস্থাটি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাফেজ্জী চ্যারিটেবলের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ রাজ।
জানা যায়, ৬৫টি তাঁবুতে বর্তমানে আশ্রয় পেয়েছেন গজার শতাধিক বিধ্বস্ত পরিবারের ৫০০ নারী-পুরুষ ও শিশু। প্রতিটি তাঁবুতে বিশুদ্ধ পানি, শুকনো খাবার ও শিশুদের দুধ সরবরাহ করা হচ্ছে। দেওয়া হচ্ছে জরুরি চিকিৎসা সহায়তা। তাদের সেবায় নিয়োজিত আছেন হাফেজ্জীর স্বেচ্ছাসেবকরা।
মুহাম্মাদ রাজ বলেন, ‘যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার আশ্রয়হীন মানুষের পাশে আছে হাফেজ্জী চ্যারিটেবল। সেখানে হাফেজ্জী ক্যাম্প হয়ে উঠেছে আশা ও বেঁচে থাকার প্রতীক। হাফেজ্জীর স্বেচ্ছাসেবীরা দিনরাত কাজ করছেন সেখানে। জীবনের ঝুঁকি নিয়েও সেবার ধারা অব্যাহত রেখেছেন দেইর আল বালাহ, খান ইউনূস, মাওয়াসি আল কারারা, রাফাহসহ বিভিন্ন এলাকায়।
তিনি বলেন, গাজার প্রতিটি শিশুর হাসি আমাদের অনুপ্রেরণা। আমরা শুধু তাঁবু দিচ্ছি না, দিচ্ছি আশার আলো, মানবতার বার্তা। এই কার্যক্রম আরও সম্প্রসারণের পরিকল্পনা চলছে যেন হাজারো পরিবারকে আশ্রয়, খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া যায়।
জানা গেছে, বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথমবার কোনো মানবিক সংগঠন গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতিসহ আট হাসপাতালে সরাসরি সেবা দিচ্ছে।
হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটি অব বাংলাদেশের শুরু ২০১৩ সালে। বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের (বেফাক) মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, মুফতি জাফর আহমদসহ দেশের শীর্ষ আলেমদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে সংস্থাটি।
সংস্থাটি দেশে অসহায়ের সহযোগিতা, চিকিৎসা, স্বাবলম্বীকরণ ও পুনর্বাসনে কাজ করছে। কয়েক লাখ মানুষকে চিকিৎসাসেবা দিয়েছে এরই মধ্যে। পুনর্বাসন করছে অসহায়দের। নওমুসলিমদের জন্য আছে কল্যাণ কর্মসূচি। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে সহযোগিতা করছে গাজার অসহায়দের। গাজার শিশুদের জন্য করেছে স্কুল।