রাবি প্রতিনিধি:
সীতাকুণ্ডে সাংবাদিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে রাজশাহীতে কর্মরত সাংবাদিকরা। আজ মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বেলা ১১ টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলা মানে সত্য প্রকাশের পথ বন্ধ করার চেষ্টা। আমরা এই বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানাই এবং প্রশাসনের কাছে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।
এখন টিভির ব্যুরো প্রধান রাকিবুল হাসান রাকিব বলেন, আজকে আমরা দাড়িয়েছি আমাদের সহকর্মীদের রক্তঝরানোর প্রতিবাদে। আমাদের পেশার নিশ্চয়তার দাবিতে। আমরা বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করতে গেলেও বিপদ, সঠিক তথ্য সংগ্রহ করতে গেলেও বিপদ। যার উৎকৃষ্ট উদাহরণ সীতাকুণ্ডের ঘটনায় প্রমাণ করে। এই ঘটনায় হামলাকারীদের আগেরও একাধিক মামলা রয়েছে। ২ দিন পার হয়ে গেলেও হামলাকারীদের প্রশাসন চেনা সত্বেও এখনো গ্রেফতার করে নাই। সাংবাদিক সংগঠনগুলোর আল্টিমেটামকেও প্রশাসন হেলেফেলে দেখছে।আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই এবং অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের জোর দাবি জানাই।
কর্মসূচিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি সাংবাদিক সংগঠনও সংহতি প্রকাশ করে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও প্রথম আলোর প্রতিনিধি সাজিদ হোসেন বলেন, সাংবাদিকদের উপর হামলা সাধারণ কোনো হামলা নয়। গণমাধ্যমকে বলা হয় রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। আর এই গণমাধ্যমকর্মীদের যখন হামলার শিকার হতে হয় তখন রাষ্ট্রের অবস্থা কি তা অনুমেয়। বিগত সরকারের আমলে সাংবাদিকদের হামলা, মামলা করে দমন-পীড়নের চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা দেখেছি সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদনের রায় ১২০ বার পেছানো হয়েছে। এ যদি হয় সাংবাদিকদের বিচারব্যবস্থা, আমরা কীভাবে স্বাধীনভাবে কাজ করবো? অবিলম্বে চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের উপর বর্বরোচিত হামলাকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিক, অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ার প্রতিনিধি, ফটোসাংবাদিক ও টেলিভিশন কর্মীরা অংশ নেন।
উল্লেখ্য, গত ৪ অক্টোবর চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সলিমপুরে সংবাদ সংগ্রহে গেলে এখন টেলিভিশন এর চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান হোসাইন জিয়াদ ও ক্যামেরাপার্সন মো. পারভেজের ওপর সন্ত্রাসীরা হামলা করে। এসময় সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে মারধর করে, ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন ভাঙচুর করে এবং আইডি কার্ড ছিনিয়ে নেয়।
নাসির বিন নোয়াইদ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়