ডেস্ক নিউজ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় “শরৎ উৎসব ১৪৩২” উদযাপিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ, সংগীত বিভাগ, নৃত্যকলা বিভাগ, থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগ এবং ডাকসু যৌথভাবে এই উৎসবের আয়োজন করে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে নানা সুর ও ছন্দে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এই উৎসব আয়োজিত হয়।
চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম শেখের সভাপতিত্বে উৎসবের উদ্বোধনী পর্বে ঢাবির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে পেইন্টিং প্রদর্শনী প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ৩জন শিক্ষার্থীকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা বলেন, এধরনের উৎসব শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্তঃসম্পর্ক সুদৃঢ় করতে ভূমিকা রাখবে। বর্তমান যান্ত্রিক জীবনে এধরনের উৎসব আমাদের পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। এসব উৎসব থেকে মানবিক গুনাবলী অর্জন করার জন্য তিনি সকলকে পরামর্শ দেন। শরৎ উৎসবকে গ্রাম-বাংলার চিরায়ত উৎসব হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন এই উৎসবের মাধ্যমে আমরা বিশ্ব দরবারে আমাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরতে পারি।
এছাড়াও, অনুষ্ঠানে কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইকরামুল হক, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, প্রাচ্যকলা বিভাগের অনারারি অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস সাত্তার, সংগীত বিভাগের চেয়ারপার্সন ড. প্রিয়াংকা গোপ, নৃত্যকলা বিভাগের চেয়ারপার্সন তামান্না রহমান, থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারপার্সন কাজী তামান্না হক সিগমা, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবুল কালাম সরকার এবং ডাকসুর সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে ঢাবির চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম শেখ সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী গত ১৯ বছর যাবত চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় শরৎ উৎসব পালন করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় এ বছর শরৎ উৎসব আয়োজনের জন্য ১০ অক্টোবর তারিখে বকুলতলা ব্যবহারের জন্য অনুষদ বরাবর অনুমতি প্রার্থনা করে আবেদনপত্র দেয়। চারুকলা অনুষদ সবসময়ই শিল্প-সংস্কৃতির মূল্যবোধ ও ঐতিহ্যকে লালন করে বিধায় সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর শরৎ উৎসব আয়োজনের আবেদনপত্রটি বরাবরের মতো অনুমোদন দেয়।
অনুষ্ঠান আয়োজকদের একজন ফ্যাসিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় ফ্যাসিবাদবিরোধী লেখক, সাংবাদিক ও শিল্পীসমাজ কর্তৃক গত ৯ অক্টোবর উৎসবটি বন্ধের জন্য চারুকলা অনুষদ বরাবর আবেদন করা হয়। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানোর লক্ষ্যে সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ করে আপাতত অনুষ্ঠানটি স্থগিত করা হয়।