Connect with us

আইন-আদালত

সেনা কর্মকর্তাদের বিচার ট্রাইব্যুনালে হতে বাধা নেই: প্রসিকিউটর তামিম

Published

on

সংবিধান ও ট্রাইব্যুনাল আইন অনুযায়ী সেনা কর্মকর্তাদের বিচার ট্রাইব্যুনালে হতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামীম। বৃহস্পতিবার বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে গত বুধবার পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম করে নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের করা দুই মামলায় ২৪ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তাদের মধ্যে ১৪ জন কর্মরত এবং ১০ জন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা রয়েছেন। আগামী ২২ অক্টোবরের মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এরপর প্রশ্ন উঠে— সামরিক বাহিনীর কোনো সদস্য বা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যদি ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ ওঠে তাহলে তার বিরুদ্ধে তদন্ত বা বিচারের ক্ষেত্রে কোন আইন প্রযোজ্য হবে? এক্ষেত্রে সামরিক বাহিনীর নিজস্ব আইনে সামরিক আদালতে, নাকি প্রচলিত ফৌজদারি আইনে বিচার করা হবে?আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম জানান, সংবিধান ও ট্রাইব্যুনাল আইন অনুযায়ী সেনা কর্মকর্তাদের বিচার ট্রাইব্যুনালে হতে বাধা নেই।

তিনি বলেন, আমাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংবিধান দ্বারা প্রোটেক্টেড। সংবিধানেই বলা আছে তা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন। অন্য যে কোনো আইন এই আইনের সাথে সাংঘর্ষিক হলে সেই আইন বাতিল হবে, সংবিধান প্রিভেইল করবে। শুধু আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন যদি সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক হয় তবে সেই অংশটুকু বাতিল হবে না। অর্থাৎ এই আইন সকল ক্ষেত্রেই প্রাধান্য পাবে।

তিনি জানান, যে কোনো সিভিলিয়ান বা ডিসিপ্লিনারি ফোর্সের বিচার এই আইন করতে পারবে বলে এই আইনেই উল্লেখ করা আছে।

প্রসিকিউটর তামিম বলেন, ডিসিপ্লিনারি ফোর্সের ব্যাখ্যা দিয়ে বলা দিয়েছে, প্রথম হলো আর্মি, তারপরে নেভি, তারপরে এয়ারফোর্স, পুলিশ, র‍্যাব, যে কোনো গোয়েন্দা সংস্থা এভাবে ক্যাটাগরিক্যালি বলে দিয়েছে। এই আইন তৈরির শুরু থেকেই আর্মিদের বিচার করার পাওয়ার আছে। কর্মরত হলেও আর্মিদের বিচার সেনা আইনে করার কোনো সুযোগ নেই। বিচার এই আইনেই হতে হবে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright © 2025. powered by All Time News.