ইবি প্রতিনিধি
মোবাইলে টাকা ক্যাশআউট নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষার্থীকে মারধরের করায় সাতদিন দোকান খোলার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও দোকান খোলার অভিযোগ এসেছে ক্যাম্পাস সংলগ্ন সেই দোকানদার মিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই দোকান বন্ধ করে পালিয়েছে বলে জানা যায়।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে দোকান খোলার ব্যাপারে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় দোকানদার মিরাজুল তার এক কর্মচারীসহ দোকান খুলেছেন। তবে পরে বন্ধ করে চলে যান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিরাজুল বলেন, প্রশাসন আমাদের সাতদিন দোকান বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এ ব্যাপারে আমরা সম্মান প্রদর্শন করে দোকান বন্ধ রেখেছিলাম। কিন্তু আমাদের আসলে বিকাশের ব্যাবসায় বেশি ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। তাই মালিক সমিতির সাথে কথা বলে দোকান খুলেছি।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সেলিম খান বলেন, বহিরাগত দোকানদারের হাতে ছাত্র আক্রান্ত হলো। প্রশাসন নাকি কঠোর শাস্তি দিলো যে ৭ দিনের জন্য দোকান বন্ধ। সভাপতি, সম্পাদকসহ মালিক সমিতি মুচলেকা দিলো, দোকান থাকবে বন্ধ। অথচ বাস্তবে? মাত্র ১ দিন পরই দোকান খুলে গেল! এতে কারা অপমানিত হলো? বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে তো সরাসরি বুড়ো আঙুল দেখানো হলো!
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান বলেন, আমি দোকান খোলার বিষয়টি শুনে সাথে সাথেই সেখানে টিম পাঠিয়েছি। নিরাপত্তা কর্মীরা দোকান বন্ধ পান। তবে সে কেন খুলছে তা কারণ দর্শানো হবে।
উল্লেখ, গত ১৪ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৯ টা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন সপ্তডিঙ্গা স্টেশনারিতে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে টাকা উত্তোলন নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে এক শিক্ষার্থীকে মারধর করেন মিরাজুল। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ইবির বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সেলিম খান। ঘটনার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি, বাজার মালিক সমিতি এবং বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা আলোচনা করে আগামী সাত দিন দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।