সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে জাল ভোট দিতে গিয়ে ধরা পড়ায় প্রতিপক্ষকে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে। আহত হয়েছেন শহিদুল্লাহ (৩৪), যিনি নুরনগর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি প্রার্থী শাহাদাৎ হোসেন সরদারের ছেলে।
ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার নুরনগর ইউনিয়নের আশালতা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শাহজালাল (২৪) নামে এক যুবক একাধিকবার ভোট দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এ সময় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ছেলে শহিদুল্লাহ তাকে ধরে ফেললে শাহজালাল পকেট থেকে চাকু বের করে আঘাত করে পালানোর চেষ্টা করে।
স্থানীয়রা ধাওয়া দিয়ে শাহজালালকে আটক করে পাশের একটি দোকানে আটকে রাখে। ইউনিয়ন যুবদল নেতা রাজু আহমেদ তার সহযোগীদের নিয়ে এসে দোকান খুলে শাহজালালকে ছিনিয়ে নিয়ে যান বলে অভিযোগ উঠেছে। শাহজালাল নুরনগর ইউনিয়নের ছোট শ্যামনগর গ্রামের সুরাত আলীর ছেলে।
উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব ও প্রাক্তন চেয়ারম্যান গোলাম আলমগীর জানান, কেন্দ্রীয় নির্দেশনা সত্ত্বেও ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ড সম্মেলন আলাদা কেন্দ্রে না করে একই স্থানে আয়োজন করায় প্রচণ্ড ভিড় সৃষ্টি হয়। এ সুযোগে বিএনপির সঙ্গে পূর্বে কোনো সম্পর্ক না থাকা শাহজালাল একাধিকবার ভোট দেওয়ার চেষ্টা করে এবং ধরা পড়লে হামলা চালায়।
উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সোলায়মান কবীর অভিযোগ করেন, বিএনপির একটি পক্ষ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ধারাবাহিকভাবে নৈরাজ্য তৈরি করছে। দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটছে বারবার। তিনি বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ জানানো হলেও জেলা নেতৃবৃন্দ বা সাংগঠনিক টিম কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবির জানান, এমন ঘটনার বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।