Connect with us

top1

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমান হওয়া উচিত :ইউজিসি চেয়ারম্যান 

Published

on

ডেস্ক নিউজ 

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ বলেছন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে মেধাবীদের আকর্ষণবোধ করতে প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সমান হওয়া উচিত।

রবিবার (৫ অক্টোবর) ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমি মনে করি, আমাদের দেশের প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সমান হওয়া উচিত। যেন মেধাবীরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে আকর্ষণবোধ করেন। মেধাবীদের শিক্ষকতায় আনতে না পারলে শিক্ষাব্যবস্থাকে আমরা এগিয়ে নিতে পারবো না, শিক্ষার্থীদেরও যুগোপযোগী শিক্ষায় শিক্ষিত করা সম্ভব হবে না।

তিনি আরও বলেন, আজ মহান শিক্ষক দিবস। আজকের আলোচনায় শিক্ষকদের কেমন সুযোগ-সুবিধা দেওয়া উচিত, সেটাই মূখ্য বিষয়। আমরা তাদের কী ধরনের বেতন-ভাতা দিচ্ছি এবং বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে কেমন দেওয়া উচিত; তা বিচার-বিশ্লেষণ করা জরুরি। গভীর মনোযোগের সঙ্গে আমাদের চিন্তা করতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা গ্লোবাল (বৈশ্বিক) হিসাব না হয় ভুলে গেলাম। সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে আমাদের শিক্ষকদের অবস্থান কোথায়? সম্প্রতি আমরা পাকিস্তান গিয়েছিলাম। পাকিস্তানের উদাহরণ এজন্য দিচ্ছি যে, তারা সব দিক দিয়ে আমাদের তুলনায় পিছিয়ে। সেখানে অন্য পেশাজীবীদের চেয়ে শিক্ষকরা দুই-তিনগুণ বেশি বেতন পান। অন্য সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রেও পাকিস্তানের শিক্ষকরা যা পান, তা শুনলে অবাক হওয়ার মতো। তাদের ল্যাবরেটরি, গবেষণাগারও সমৃদ্ধ।

তিনি আরও বলেন, অনেক দেশ আছে, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা যে বেতন-ভাতা পান, প্রাথমিকের শিক্ষকরাও তেমনই বেতন-ভাতা পান। এটা আমাদেরও করা উচিত। যেন মেধাবীদের আমরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকতায় আকর্ষণ করতে পারি। মেধাবীদের যদি আমরা শিক্ষকতায়; সেটা হোক প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে আনতে না পারি; তাহলে শিক্ষার্থীদেরও আমরা এগিয়ে নিতে পারবো না। শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধাবীদের জন্য আকর্ষণ রাখতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতনের ‘দুরাবস্থা’ তুলে ধরে লেন, আমাদের সরকারি শিক্ষা কাঠামোতে সবচেয়ে নিচে রয়েছেন প্রাথমিক স্কুলের সহকারী শিক্ষকগণ। তারা কততম গ্রেডে বেতন পান? ১৩। একজন কম্পিউটার অপারেটরের স্কেলে আমরা তাকে ফেলেছি, এই হচ্ছে তার সম্মান। এবং উনি (প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক) উপজেলা হেড কোয়ার্টারে যেখানে উনার বেতনটা পান, ওই যে হিসাবরক্ষক— তার স্কেল হলো ১২। তাকে স্যার ডাকার মত অবস্থা। এই হচ্ছে আমাদের অবস্থা। স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বাদ দিয়ে যদি হিসাব করি, আমাদের সরকারি কলেজের অধ্যাপক, তার স্কেল কত? ৪, অর্থাৎ উনি একজন যুগ্ম সচিবেরও নিচে অবস্থান করেন।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব রেহানা পারভীনের সভাপতিত্ত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার। অন্যদের মধ্যে ছিলেন- শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মুহাম্মাদ রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশে ইউনেস্কোর প্রতিনিধি সুজান ভাইজ, ইসলামিক ওয়ার্ল্ড এডুকেশনাল, সায়েন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশনের (আইসিইএসসিও) মহাপরিচালক সালিম এম আল-মালিক। অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক গোলাম মুস্তফা।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright © 2025. powered by All Time News.