Connect with us

ধর্ম

হাদিসের শিক্ষা: বান্দার তওবায় আল্লাহ খুশি হন

Published

on

আবুত তহির ও হারমালাহ ইবনু ইয়াহইয়া (রহ.) আবু হুরায়রাহ (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের সালাতে কিরআত শেষে তাকবির দিয়ে রুকুতে গিয়ে রুকু থেকে যখন মাথা উঠাতেন তখন বলতেন, ‘সামিআল্লা-হু লিমান হামিদাহ, রাব্বানা- ওয়ালাকাল হামদ’ (অর্থাৎ- যে আল্লাহর প্রশংসা করে আল্লাহ তার প্রশংসা শোনেন। হে আমাদের প্রভু! সকল প্রশংসা তোমারই জন্য নির্দিষ্ট)। এরপর তিনি দাঁড়িয়ে বলতেন, হে আল্লাহ! ওয়ালিদ ইবনু ওয়ালিদ, সালামাহ ইবনু হিশাম ও আইয়্যাশ ইবনু রবিআহ এবং দুর্বল ও নিপীড়িত মুমিনদের নাজাত দান করো। হে আল্লাহ! তুমি মুযার গোত্রকে কঠোর হস্তে পাকড়াও করো। আর ইউসুফ (আ.)-এর সময়ের দুর্ভিক্ষের মতো দুর্ভিক্ষ দিয়ে তাদের শায়েস্তা করো। হে আল্লাহ! তুমি লিহইয়ান, রিলান, যাকওয়ান ও উসাইয়্যাহ গোত্রের ওপর অভিসম্পাত বর্ষণ করো। কেননা তারা আল্লাহ এবং তার রাসুলের অবাধ্য হয়েছে। অতঃপর আমরা জানতে পারলাম যে, আয়াত- ‘হে নবী! এর ব্যাপারে তোমার কোনো করণীয় নেই। আল্লাহ তাদের তওবাহ কবুল করুন আর তাদের শাস্তি দান করুন এ ব্যাপারে তিনি পূর্ণ ইখতিয়ারের অধিকারী। কেননা তারা তো জালিম’ (সুরাহ আ-লি ইমরান ৩ঃ১২৮)। অবতীর্ণ হওয়ার পর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এভাবে কুনুত পড়া ছেড়ে দিয়েছিলেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং-১৪২৬)

শিক্ষা : মানুষ মাত্রই ভুল। তাই ভুল বা অন্যায় হলেই তওবা করতে হবে। বান্দার তওবায় আল্লাহ খুশি হন। তবে তওবাহ কবুল করা আর শাস্তি দেওয়া আল্লাহর ইখতিয়ার।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *