অক্টোবর মাসের প্রথম ২৫ দিনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে পাঠিয়েছেন ২০৩ কোটি ২৯ লাখ মার্কিন ডলার, যা প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ। এই রেমিট্যান্স প্রবাহ দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে এবং অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে প্রায় ৩৮ কোটি ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংক থেকে ১৯ কোটি ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলো থেকে ১৪৪ কোটি ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে প্রায় ৫০ লাখ ডলার। এতে বোঝা যায়, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে।
ব্যাংকভিত্তিক রেমিট্যান্স বিশ্লেষণ:
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলো: ৩৮ কোটি ৪৬ লাখ ৪০ হাজার ডলার
বিশেষায়িত ব্যাংক (কৃষি ব্যাংক): ১৯ কোটি ৭০ লাখ ৭০ হাজার ডলার
বেসরকারি ব্যাংকগুলো: ১৪৪ কোটি ৬৩ লাখ ৪০ হাজার ডলার
বিদেশি ব্যাংকগুলো: ৪৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার
এই পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যায়, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে, যা ব্যাংকিং চ্যানেলের ওপর প্রবাসীদের আস্থার প্রতিফলন।
রেমিট্যান্স বৃদ্ধির পেছনে রয়েছে হুন্ডি প্রতিরোধে সরকারের কঠোর পদক্ষেপ, ২.৫% প্রণোদনা এবং ব্যাংকিং ব্যবস্থার উন্নয়ন। এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও শক্তিশালী হবে এবং টাকার মান স্থিতিশীল রাখতে সহায়ক হবে।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে মোট রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ৯৭৫ কোটি ডলার, যা গত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।