অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচনা করে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, সরকার জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) গুরুত্ব দিয়ে অন্য দলগুলোর সঙ্গে প্রতারণা করেছে।
তার দাবি, ড. মুহাম্মদ ইউনূস এখন তিনটি রাজনৈতিক দলকে সক্রিয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছেন, ফলে গণঅধিকার পরিষদ ‘বি’ ও ‘সি’ পর্যায়ে নেমে গেছে।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
নুর বলেন, বিএনপি বহুবার রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে, তাই তাদের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু জামায়াত ও এনসিপিকে সরকার যেভাবে প্রাধান্য দিচ্ছে, তা রাজনৈতিক ভারসাম্যের পরিপন্থী।
তিনি আরও বলেন, “যখন শেখ হাসিনা ড. ইউনূসকে বিচার প্রক্রিয়ার নামে হেনস্তা করেছিলেন, আমরা তার প্রতিবাদ করেছিলাম। আন্দোলনেও আমাদের ভূমিকা কম ছিল না।”
তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, সংস্কারের নামে স্বার্থসিদ্ধির জন্য নতুন রাজনৈতিক বিভাজন বা সংকট তৈরি করা উচিত নয়।
নুর আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচন জানুয়ারির মধ্যেই সম্পন্ন করা প্রয়োজন। নির্বাচন বিলম্বিত হলে বিচার ও সংস্কার ইস্যু ঘিরে অনিশ্চয়তা বাড়বে এবং পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠবে।
তার অভিযোগ, উদ্দেশ্যমূলকভাবে সংস্কার প্রসঙ্গকে ভিন্ন দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, যা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য ক্ষতিকর।