Connect with us

top1

‘আমাকে ক্ষমা করে দিও’ লেখা চিরকুট রেখে রাবি শিক্ষার্থীর ‘আত্মহত্যা’

Published

on

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, রাবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) সংলগ্ন একটি বাসা থেকে এক ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই শিক্ষার্থী ‘আত্মহত্যা’ করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। বুধবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মির্জাপুর এলাকার ‘ইসলাম টাওয়ার’ নামে নিজেদের আবাসিক ভবন থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে ‘আমাকে ক্ষমা করে দিও’ লেখা একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মৃত শিক্ষার্থীর নাম সোনিয়া সুলতানা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের (আইইআর) চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর কাশিয়াডাঙ্গা থানা এলাকায়। তার মৃত্যুর বিষয়টি মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক নিশ্চিত করেছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আবদুল মালেক বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৮টার দিকে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। তবে আমরা পৌঁছানোর আগেই তার বাবা মরদেহ নামিয়ে ফেলেছিলেন। যে কাপড়টি দিয়ে তিনি ফাঁস দিয়েছিলেন, সেটি ফ্যানের সাথে বাঁধা অবস্থায় ছিল।’

তিনি আরও জানান, ‘সোনিয়া তার বাবা-মার সঙ্গেই ওই ফ্ল্যাটে থাকতেন। আনুমানিক সকাল ৬টার দিকে তিনি মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার মা প্রথমে মরদেহ দেখতে পান।’

ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধারের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘টেবিলে দুইটি নোট পাওয়া গেছে। একটি চিরকুটে লেখা ছিল ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী না। আমার যেন পোস্টমর্টেম করা না হয়। আব্বু-আম্মু ধ্রুবতাঁরা আমি খুব ভালোবাসি। আমাকে ক্ষমা করে দিও। আল্লাহকে বলো আমাকে মাফ করে দিতে।’

অপর চিরকুটে লেখা ছিল, ‘আমি খুব করে বাঁচতে চেয়েছি বিশ্বাস করো তোমরা। কিন্তু নিজের সাথে যুদ্ধ করে আর পেরে উঠলাম না। আল্লাহ তুমি আমাকে মাফ করে দিও। আমাকে….’

ওসি আব্দুল মালেক বলেন, ‘পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ নেই এবং তারা ময়নাতদন্ত করাতে চান না। প্রাথমিকভাবে আমরা এটিকে আত্মহত্যা হিসেবেই দেখছি।’

এ বিষয়ে শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক আখতার বানু বলেন, ‘সোনিয়া ভোরে ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তার বাবা-মা দুজনেই তখন বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ আসে এবং আলামত হিসেবে ওড়নাটি ও ঘটনাস্থলে থাকা রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গেছে।’

অধ্যাপক আখতার বানু বলেন, ‘সোনিয়া খুবই ভালো ছাত্রী ছিল। সব সাবজেক্টে প্লাস পেত। গতকালও তার ভাইভা ছিল, সেটাও ভালো করেছে। সে খুবই ধার্মিক ছিল, পর্দা করত। আমরা জানতে পেরেছি, মারা যাওয়ার আগেও সে মায়ের সাথে একসাথে ফজরের নামাজ পড়েছে।’

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *