ঢাকা, ২৯ অক্টোবর ২০২৫: দীর্ঘ ১৭ বছর যুক্তরাজ্যে স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকার পর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী নভেম্বর মাসেই দেশে ফিরতে পারেন বলে জানিয়েছেন দলের শীর্ষ নেতারা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ সম্প্রতি গুলশানে সাংবাদিকদের জানান, “আশা করি, নভেম্বরের মধ্যেই তারেক রহমান দেশে ফিরবেন।” তিনি আরও বলেন, “তারেক রহমান নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন, এবং আসন পরে নির্ধারিত হবে”।
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি ইতোমধ্যে ২০০টি আসনে একক প্রার্থীকে ‘গ্রিন সিগন্যাল’ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে দলের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
আইনি জটিলতা ও নিরাপত্তা ইস্যু তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অতীতে একাধিক মামলায় সাজা হলেও সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর অনেক মামলায় তিনি খালাস পেয়েছেন। বিএনপির নেতারা বলছেন, দেশে ফেরার জন্য তার আইনি ও কূটনৈতিক প্রস্তুতি চলছে। এমনকি লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের একটি দল তার বাসায় গিয়ে বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষণ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা বিশ্লেষকদের মতে, তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি নতুন মোড় আনতে পারে। বিশেষ করে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ ও সম্ভাব্য বিজয়ের ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
যদিও এখনো তারেক রহমানের দেশে ফেরার নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করা হয়নি, তবে নভেম্বর মাসের মধ্যেই তার প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা প্রবল। তার এই প্রত্যাবর্তন শুধু বিএনপির জন্য নয়, গোটা দেশের রাজনীতির জন্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হতে চলেছে।