যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলমান বাণিজ্য উত্তেজনার প্রেক্ষিতে দুই দেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতির দিকে এগিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আসন্ন বৈঠকের আগে দুই দেশের প্রতিনিধিরা একটি প্রাথমিক বাণিজ্যিক ‘ফ্রেমওয়ার্ক’ চুক্তিতে সম্মত হয়েছেন।
আলোচনার মূল বিষয় দুই দিনের আলোচনায় প্রযুক্তি, ফেন্টানিল নিয়ন্ত্রণ, বিরল খনিজের সরবরাহ, এবং তাইওয়ান ইস্যুতে মতবিনিময় হয়। আলোচনায় অংশগ্রহণকারী মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই চুক্তি ভবিষ্যৎ আলোচনার ভিত্তি তৈরি করবে এবং নেতাদের মধ্যে সরাসরি বৈঠকের জন্য ইতিবাচক পরিবেশ সৃষ্টি করবে।
শুল্ক হুমকি ও সম্ভাব্য পরিবর্তন চুক্তির আলোকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পূর্ব ঘোষিত ১০০% অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা স্থগিত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই পদক্ষেপ বিশ্ববাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সহায়ক হবে।
চীনের প্রতিক্রিয়া চীনা পক্ষ আলোচনার অগ্রগতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে এবং একে “গঠনমূলক ও ফলপ্রসূ” বলে অভিহিত করেছে। তারা আশা করছে, এই চুক্তি দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও সহযোগিতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে।
পরবর্তী পদক্ষেপ ট্রাম্প ও শি জিনপিংয়ের বৈঠক দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে, যেখানে এই ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তিকে চূড়ান্ত রূপ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৈঠকটি বিশ্ব অর্থনীতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
এই চুক্তি দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে এবং বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।