আন্তর্জাতিক ডেস্ক
অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফ্রান্স, বৃটেন, বেলজিয়াম ও পর এবার ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিল পর্তুগাল। রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দেশটির পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। আলজাজিরা ও গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় বলেন, শান্তি ও দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান পুনর্জীবিত করতে আমি আজ যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করছি যুক্তরাজ্য আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
ইতিমধ্যে জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্য দেশের মধ্যে প্রায় তিন-চতুর্থাংশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। ২০১২ সালে ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের (অ-সদস্য) মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল।
এদিকে, গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের কারণে প্রতিদিনই বিপুলসংখ্যক ফিলিস্তিনি নিহত হচ্ছেন। স্থানীয় সময় শনিবার (২০ সেপ্টম্বর) অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দখলকার ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান ও স্থল অভিযানে ৯১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ আবু সালমিয়ার পরিবারের সদস্যরা।
চিকিৎসকদের বরাতে আল জাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী একদিনে গাজায় ৯১ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। গাজা সিটিকে দখল করতে ইসরায়েলি বাহিনী আবাসিক ভবন, স্কুল-আশ্রয়কেন্দ্র, বাস্তুচ্যুতদের আবাসস্থল ও পালিয়ে আসা লোকজনের ট্রাকে বোমা বর্ষণ করে। শুধু এসব হামলায় অন্তত ৭৬ জন নিহত হন।
শনিবার ভোরে গাজা শহরের সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফার পরিচালক ডা. আবু সালমিয়ার পারিবারিক বাড়িতে হামলা চালানো হয়। এতে তার ভাই, ভগ্নিপতি ও তাদের সন্তানসহ অন্তত পাঁচজন নিহত হন। ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে প্রায় ১ হাজার ৭০০ স্বাস্থ্যকর্মী নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও ৪০০ জনকে কারারুদ্ধ করা হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরাইলের নির্বিচার বোমাবর্ষণে এখন পর্যন্ত অন্তত ৬৫ হাজার ১৪১ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।