‘১৩তম বিমান বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার ২০২৫’ শুরু হচ্ছে ৩০ অক্টোবর থেকে। বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী এ মেলার আয়োজন করছে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)। এতে অংশ নিচ্ছে পাকিস্তান, নেপাল, ভুটানসহ ১২টি দেশের পর্যটনসংশ্লিষ্ট সংস্থা, ট্যুর অপারেটর ও ট্রাভেল এজেন্টরা।
টোয়াবের পরিচালক (বাণিজ্য ও মেলা) মো. তাসলিম আমিন শোভন বলেন, এবারের মেলা আগের বছরের তুলনায় অনেক আকর্ষণীয় এবং জাঁকজমকপূর্ণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মেলায় পাকিস্তান, নেপাল ও ভুটানের জাতীয় পর্যটন সংস্থা এবং ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশন অংশ নিচ্ছে। এ ছাড়া থাকছে পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, চীন, শ্রীলঙ্কা, ফিলিপাইন ও তুরস্কের ট্যুর অপারেটর এবং ট্রাভেল এজেন্টরা।
এবারের মেলায় ৪টি হলে ২০টি প্যাভিলিয়নসহ ২২০টি স্টল থাকবে। থাকবে সাইড লাইন ইভেন্ট হিসেবে বিটুবি সেশন, সেমিনার ও কান্ট্রি প্রেজেন্টেশন। এ ছাড়া মেলায় আসা দর্শনার্থীদের জন্য প্রতিদিন সাংস্কৃতিক আয়োজন এবং দেশের পর্যটন গন্তব্যের ওপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হবে।
টোয়াবের সভাপতি মো. রাফেউজ্জামান বলেন, ‘বাংলাদেশের পর্যটনশিল্পের শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্য সংগঠন হলো টোয়াব। ২০০৭ সাল টোয়াব বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ও জনপ্রিয় পর্যটন মেলা বিমান বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার আয়োজন করে আসছে। পর্যটন সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি এবং এর টেকসই উন্নয়ন এই মেলার প্রধান উদ্দেশ্য।’
রাফেউজ্জামান আরও বলেন, ‘আমরা আশা করছি, এবারের পর্যটন মেলা ব্যবসায়ী, দেশি-বিদেশি পর্যটক এবং পর্যটনশিল্পসংশ্লিষ্ট সবার মাঝে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে। এই মেলা বাংলাদেশের পর্যটনশিল্পের প্রসার ঘটাবে এবং বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। মেলায় প্রবেশমূল্য ৫০ টাকা। তবে শিক্ষার্থী, মুক্তিযোদ্ধা ও জুলাই যোদ্ধারা বিনা মূল্যে মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন।