জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে প্রচার-প্রচারণায় একগুচ্ছ বিধিনিষেধ থাকলেও প্রার্থীরা তা অমান্য করতো। সেই বিষয়টি মাথায় রেখে ঐকমত্য প্রস্তাবনার প্রেক্ষিতে স্বাধীনতা পরবর্তী ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো নির্বাচনী প্রচারণায় পোস্টার ব্যবহার থাকছে না। তবে বিলবোর্ড ব্যবহার থাকছে। এ ছাড়াও, বেশকয়েকটি নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা-২০২৫ খসড়া চূড়ান্ত করেছে ইসি।
আজ বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) নির্বাচন ভবনে বর্তমান কমিশনের ৭ম সভায় আলোচিত হয় রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা এবং সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ নিয়ে।
সভা শেষে ইসি সানাউল্লাহ জানান, প্রচার-প্রচারণায় পরিবেশবান্ধব বিষয়ের ব্যবহার বাড়ানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্তসহ এবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন নিয়মকানুন সন্নিবেশ করা হয়েছে।
এসময় ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ‘বৈঠকে নির্বাচন আচরণ বিধিমালা চূড়ান্ত হলেও আরপিও সংশোধন সাপেক্ষে এটি পরিবর্তন-পরিবর্ধন হতে পারে। এ ছাড়াও সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণে আগামী সপ্তাহের শেষ নাগাদ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলেও জানায় কমিশন।কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নির্বাচনী প্রচারকাল ৩ সপ্তাহই থাকবে। কোনো প্রার্থী যদি কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদে দায়িত্বে থাকেন, তবে প্রার্থিতা পাওয়ার পর তাকে পদত্যাগ করতে হবে।
নির্বাচনী আচরণবিধি চূড়ান্ত করা হয়েছে জানিয়ে সচিব বলেন, ‘গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে প্রার্থিতা বাতিলের বিধান যুক্ত হচ্ছে। আচরণবিধিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা পরিচালনার জন্য নির্দেশনা এবং অস্ত্রের সংজ্ঞায় দেশীয় অস্ত্র যুক্ত করা হয়েছে। সরকারি সুবিধাভোগী ব্যক্তিদের তালিকায় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’
এ ছাড়া, টিভি মিডিয়ায় কমন প্ল্যাটফর্মে প্রার্থীদের নির্বাচনী ইশতেহার উপস্থাপনের সুযোগ এবং ডায়ালগ অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার সম্মতিও দিয়েছে কমিশন।