Connect with us

ক্যাম্পাস

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই বিএনসিসি, নেয়া হচ্ছে ফি, ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা

ছবি -সংগৃহীত

ডেস্ক নিউজ 

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (জাককানইবি) প্রতিষ্ঠার দেড় যুগ পরও বিএনসিসির নেই কোন কার্যক্রম। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএনসিসির কোন কার্যক্রম না থাকলেও শিক্ষার্থীদের কাছে প্রতিবছরই বিএনসিসি বাবদ নেওয়া হয় ৪০ টাকা ফি। কিন্তু দীর্ঘ দেড় যুগ পার হলেও এ নিয়ে কোন কার্যক্রম চোখে না পড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ভর্তি ফি-এর তালিকায় বিএনসিসি ফি এখনো বিদ্যমান। অথচ বাস্তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএনসিসির কোনো ইউনিট নেই। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রতি ব্যাচে প্রায় ১ হাজার শিক্ষার্থীর কাছে নিয়মিত ফি নেওয়া হলেও কোন কাজে এই অর্থ ব্যয় হচ্ছে না।

জানা যায়, ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে মোট ১৯ টি ব্যাচের শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে স্বীকৃতি থাকলেও এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) চালু হয়নি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী প্রতি শিক্ষার্থীকে ৪০ টাকা করে বিএনসিসি ফি দিতে হচ্ছে। 

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ , যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএনসিসি কার্যক্রমই নেই, তখন প্রতি বছর এই টাকা নেওয়া হচ্ছে কেন? আদায়কৃত অর্থ আসলে কোথায় ব্যয় হচ্ছে—তা এখনো পরিষ্কার নয়। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯তম ব্যাচ চলমান। শিক্ষার্থীদের দাবি যদি প্রতি ব্যাচে গড়ে ১০০০ জন শিক্ষার্থী ধরা হয়, তাহলে ৪০ টাকা করে ১৯ ব্যাচে প্রায় ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা কেবল বিএনসিসি ফি বাবদ আদায় করা হয়েছে।

এই বিষয়ে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড  ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী শওকত ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, “ভর্তি হওয়ার সময় থেকে লক্ষ্য করেছি ভর্তির জন্য প্রদেয় ফি ও  আনুষঙ্গিক ব্যয়ের সময় ২২ টি খাতের জন্য ফি নেওয়া হয়। এর মধ্যে একটি বিএনসিসি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএনসিসি’র কোন কার্যক্রম এখনো খেয়াল করি নি। তাহলে এই টাকা যাচ্ছে কোথায়?’ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভার্তির সময় যদি গড়ে ১০০০ শিক্ষার্থীর থেকে ৪০ টাকা করে নেওয়া হয় তাহলে এখন পর্যন্ত প্রায় ৮ লক্ষ টাকা হয়। তাহলে এই টাকা কোন কাজে ব্যয় করা হলো?”

গত ১৯ বছর যাবৎ শিক্ষার্থীদের থেকে নেওয়া বিএনসিসি বাবদ আদায়কৃত ফান্ডের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে অর্থ ও হিসাব  দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. রাজু আহমেদ বলেন, “ইউজিসি কর্তৃক বিএনসিসি এবং স্কাউটের জন্য এবার দেখলাম এক সাথে নেওয়া হয় দুইটা। যাই টাকা দেন সব তো বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টেই জমা হয়, প্রত্যেক বছরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা বাজেট বিশ্ববিদ্যালয়েরই বহন করতে হয়। এবারো মূল বাজেটের সম্পূর্ণ গভঃমেন্ট দিবে না, এগুলা বিশ্ববিদ্যালয়ের বহন করতে হবে। আলাদা আলাদা ফাণ্ড থাকে না। আলাদা করে কোন টাকা থাকে না সব বিশ্ববিদ্যালয়ের কল্যাণেই খরচ হয়।”

তবে বিএনসিসির আদায়কৃত ফান্ডের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বলছেন ভিন্ন কথা।  তাঁর দাবি বিএনসিসি বাবদ আদায়কৃত ফান্ডের টাকা এখন পর্যন্ত কোনো খাতে তা খরচ করা হয়নি।  

এছাড়াও বিএনসিসির কোন কার্যক্রম না থাকলেও নিয়মিত ফি আদায় এবং সংগঠনটি চালু করতে প্রশাসনের সার্বিক কার্যক্রমের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, আমরা আসার পর থেকে রোভার স্কাউট কার্যক্রম শুরু করেছি এবং ইতিমধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে কয়েকটি কাজ সম্পন্ন করতে পেরেছি। স্কাউটের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছি। বিএনসিসি এখনও চালু হয়নি, তবে অল্প কিছু দিনের মধ্যেই এটি শুরু করা হবে। রোভার স্কাউটের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বিএনসিসিকেও একইভাবে এগিয়ে নেওয়া হবে। লোকজনের ঘাটতি থাকলেও আমরা দায়িত্ব বণ্টনের মাধ্যমে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। অনেক কষ্টের পর রোভার স্কাউটে কয়েকটি অনুষ্ঠান করা সম্ভব হয়েছে, আশা করছি বিএনসিসিও শীঘ্রই চালু হবে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright © 2025. powered by All Time News.