ঢাকা, ৩ নভেম্বর ২০২৫ — বাংলাদেশে মোবাইল অপারেটরদের জন্য স্মার্টফোন বিক্রির ক্ষেত্রে নতুন এক যুগের সূচনা হয়েছে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে মোবাইল অপারেটররা সব সিম স্লট লক রেখে কিস্তিতে স্মার্টফোন বিক্রি করতে পারবে।
এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে যতদিন না কিস্তির সব টাকা পরিশোধ হয়, অপারেটররা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য গ্রাহকদের একটি নির্দিষ্ট নেটওয়ার্কে আবদ্ধ রাখতে পারবে।
বাইরের উন্নত দেশগুলোতেও কিস্তিতে মোবাইল কেনার সুযোগ থাকলেও তা দেশের নেয়া নিয়ম হতে অনেকটাই ভিন্ন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর দেশ অস্ট্রিয়াতে ফোন মালিক যেকোনো সময় ফোন আনলক করতে পারেন। কিছু অপারেটর আনলকিং সার্ভিসের জন্য ফি নেয় (যেমন T-Mobile Austria ৫০-১৫০ ইউরো)।
বেলজিয়াম: একসময় সিম লক নিষিদ্ধ ছিল, কিন্তু ২০০৯ সালে ইউরোপীয় আদালতের রায়ে তা বাতিল হয়।
জার্মানি ও ফ্রান্স: কিস্তিতে ফোন বিক্রি হয়, তবে আনলকিং সহজ এবং গ্রাহক চুক্তির মেয়াদ শেষে অন্য সিম ব্যবহার করতে পারেন।
যুক্তরাষ্ট্রে, সিম লক ব্যাপকভাবে প্রচলিত:
অপারেটররা ডিভাইস সাবসিডি বা কিস্তি ভিত্তিতে ফোন বিক্রি করে এবং ফোনটি চুক্তির মেয়াদ বা কিস্তি পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত লক থাকে।
FCC নির্দেশনা অনুযায়ী, অপারেটররা কিস্তি শেষ হলে ফোন আনলক করতে বাধ্য, তবে সময়সীমা বা শর্ত ভিন্ন হতে পারে।
অপারেটরদের রাজস্ব বৃদ্ধি ও নতুন ব্যবসায়িক মডেল হিসেবে দীর্ঘমেয়াদী গ্রাহক ধরে রাখতে পারবে, ফলে তাদের আয় ও গ্রাহক ধরে রাখার হার বাড়বে। একই সাথে নিরাপদে কিস্তি আদায় করতে পারবে, যা তাদের জন্য ঝুঁকিহীন বিক্রয় ব্যবস্থা তৈরি করবে। যদি কিস্তি পরিশোধে সমস্যা হয়, তাহলে ফোন লক হয়ে যেতে পারে। এতে গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। এ নিয়মের মাধ্যমে নিম্ন আয়ের মানুষ যারা একবারে স্মার্টফোন কিনতে পারেন না, তারা সহজে কিস্তিতে ফোন কিনতে পারলেও, ডিভাইস লকিং অ্যাপ ব্যবহারে নিরাপত্তা ও ডেটা প্রাইভেসি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে, বিশেষ করে যদি তা অপারেটর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।