ডেস্ক নিউজ
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে জুনিয়র শিক্ষার্থীদের র্যাগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
গত রবিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে এক ছাত্রকে মারধর এবং এক ছাত্রকে র্যাগ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা হলেন, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ইফতেখার আহমেদ ইমন, আবু তালহা এনায়েত, আবির আরাফাত হৃদয়, রাফি ও মোজাহিদ। অন্যদিকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা হলেন ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের মোহাম্মদ সাকিব এবং কায়েস শিকদার।
জানা যায়, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিন তাদের ইমিডিয়েট সিনিয়র- ইফতেখার আহমেদ ইমন, আবু তালহা এনায়েত, আবির আরাফাত হৃদয়, রাফি ও মোজাহিদরা র্যাগ দিয়ে আসছে। রবিবার দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘জুলাই ৬’ হলের দশম তলায় মোহাম্মদ সাকিব ও কায়েস শিকদারকে ডেকে নিয়ে র্যাগিং দেয়া হয়। এ সময় তাদের ‘মুরগি’ হতে বলা হলে সাকিব সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন এবং বিচার চাইতে ৬ তলায় সিনিয়রদের রুমে যান। এ সময় ঐ রুমে উপস্থিত হন ইমন, হৃদয়, এনায়েত, রাফি ও মোজাহিদ। সেখানে গিয়ে তারা সাকিবকে মারধর করেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সাকিব বলেন, আমাদের পুরো ব্যাচকে দীর্ঘদিন ধরে অত্যাচার করা হচ্ছে। এর আগেও হোমিওপ্যাথিক মোড়ের একটি বাসায় নিয়ে গিয়ে রাত ৪টা পর্যন্ত র্যাগিং করা হয়েছে। আজ আমাকে ‘মুরগি’ হতে বলা হলে আমি বের হয়ে ১৩ ব্যাচের সিনিয়রদের কাছে বিচার চাইতে যাই। তখনই আমাকে মারধর করা হয়।
আরেক ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী কায়েস শিকদার বলেন, আসার পর থেকেই বিভিন্ন নিয়ম চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। শার্টের হাত গুটানো যাবে না, ক্যাফেটেরিয়ায় যাওয়া যাবে না, লাইব্রেরিতে যাওয়া যাবে না এমনকি আমাদের একাডেমিক ভবনের লিফট পর্যন্ত ব্যবহার করতে দেওয়া হয় না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে র্যাগিংয়ের সঙ্গে অভিযুক্ত ইফতেখার আহমেদ ইমন বলেন, ‘তেমন কিছু না জুনিয়রের সাথে একটু ভুল বোঝাবুঝির হয়েছে। ভুলের জন্য এরকম ঘটনা ঘটেছে।’ এরপর তিনি সাংবাদিকদের সাথে সরাসরি দেখা করতে আসবেন বলে ফোন বন্ধ করে ফেলেন।
এ বিষয়ে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. নাজমুল ইসলাম বলেন, আমি এই বিষয়ে অবগত নই। এই মাত্রই শুনতে পেলাম। কোনো প্রকার র্যাগিং গ্রহণযোগ্য নয়। এটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে বিষয়টা জানার চেষ্টা করবো। আর নিশ্চয়তা দিচ্ছি ভবিষ্যতে যেনো তাদের ভয় পেতে না হয়। আমরা বিভাগ থেকে সকল ধরনের সহায়তা করবো। এই ধরনের অন্যায়কে কখনোই প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান খান বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। ভুক্তভোগীরা লিখিত অভিযোগ দিলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।